গত ২১ জানুয়ারি আইএলএফএসএলকে পরিচালনা করার জন্য স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, যদি প্রস্তাব আসে তাহলে ওই কোম্পানির বিস্তারিত জানবো। পরিস্থিতি যাচাই-বাছাই করবো। কারণ ওই কোম্পানি সম্পর্কে খুব বেশি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখবো যদি কোম্পানিটিকে পুনরায় টেনেটুনেও দাঁড় করানো যায় তাহলে কষ্ট হলেও আমি চেষ্টা করবো। সত্যিকার অর্থে আমি শারিরীকভাবে অসুস্থ।
এদিকে চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়ে জানাতে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দিয়ে আদালত বলেছেন, নতুন চেয়ারম্যানকে সুসজ্জিত স্বতন্ত্র অফিস কক্ষসহ মাসিক সম্মানী হিসেবে ৩ লাখ টাকা দিতে হবে।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ফাইন্যান্স বর্তমানে পাওনাদারদের অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না। এমতাবস্থায় এই কোম্পানির দায়িত্ব নিয়ে তা কিভাবে পরিচালনা করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে ইব্রাহিম খালেদ বলেন, আমি শুনেছি হাইকোর্ট আমাকে নিয়োগ দেয়ার জন্য একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। কিন্তু আমার কাছে এখনো এই বিষয়ে কোনো প্রস্তাব বা নিয়োগপত্র এখনো আসেনি।
তিনি আরও বলেন, এই দায়িত্ব নেয়া আমার পক্ষে খুব বার্ডেন (বোঝা) হবে। তবু যদি দায়িত্ব নিয়ে মানুষের উপকার হয় তাহলে আমি চেষ্টা করবো। কিন্তু যদি দেখি সেখানে স্বার্থপর ও দুষ্ট লোকে ভরা এবং কেউ টাকা-পয়সা জমা রাখতে চায় না তাহলে হয়তো সেই দায়িত্ব আমার পক্ষে নেয়া সম্ভব হবে না। কারণ এটা তো আমার জন্য বাধ্যতামূলক নয়।
ইব্রাহীম খালেদ বলেন, যেহেতু এখনো প্রস্তাব আসেনি আমিও ওই কোম্পানি সম্পর্কে খুব অবগত নই, তাই এখনি এই বিষয়ে বলতে পারছি না। যদি দায়িত্ব নিই তখন পরিকল্পনা সম্পর্কে বলবো।
তবে এবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধিন অবস্থায় রয়েছে। খুব শিঘ্রই এই দায়িত্ব ইব্রাহিম খালেদকে বুঝিয়ে দেয়া হবে।
গত ৮ জানুয়ারি প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। তার বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এজাহারে বলা হয়েছে, প্রশান্ত কুমার হালদারের নামে-বেনামে ১৮৭ কোটি ৭৮ লাখ ৫২ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ, ৯৯ কোটি ৬১ লাখ ২ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট সম্পদের পরিমাণ ২৮৭ কোটি ৩৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। তথ্যমতে, ২০১৮ সালে তার বার্ষিক মূল বেতন ছিল ৪৮ লাখ টাকা। এই হিসেবে ১৯৯৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ১২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এটা বাদ দিলে তার কাছে ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ আছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতিবদ ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন উচ্চ আদালত।