বুধবার (২৫ অক্টোবর) ফ্রান্সের তুলুস সেন্টার র্যাম্বল্যাস হোটেলে আয়োজিত সামিটে বিশেষ অতিথি ছিলেন তুলুস মেট্রোপোলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জিন-ক্লড ডারডেলেট।
অনুষ্ঠানে পটেনশিয়াল অব ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ শীর্ষক উপস্থাপনা করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হওয়ার অভাবনীয় সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের দীর্ঘদিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং পারস্পারিক সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন বিএসইসি চেয়ার্যান। ফরাসী প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের সাথে ফ্রান্সের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দিনে দিনে আরো জোরদার হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের তারুণ্যে উজ্জীবিত মানবসম্পদের সুযোগ-সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ভূরাজনৈতিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির উচ্চ হার, দারিদ্র্য হ্রাস, শিশুমৃত্যু হ্রাস, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, বৃহৎ দেশীয় বাজার, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড, দক্ষ জনবল, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়গুলো তিনি তাঁর উপস্থাপনায় তুলে ধরেন। এছাড়াও প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের দৃঢ় ও সম্ভাবনাময় অবস্থানের চিত্রও তুলে ধরেন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
অনুষ্ঠানে একটি প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে সিভিল এভিয়েশন অথোরিটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মাফিদুর রহমানের সঞ্চালনায় অংশ নেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান নাসরীন আফরোজ, ফ্রান্সের সিভিল এভিয়েশন অথোরিটির মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার মিশন প্রধান করিম বেকুচ ও বৃহত্তম বিমান প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাসের ভাইস প্রেসিডেন্ট জুয়ান ক্যামিলো রদ্রিগেজ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইউনোস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসাইন এবং বাংলাদেশে অবস্থিত ফ্রান্স দূতাবাসের ইকোনোমিক অ্যাটাচ জুলিয়েন দেউর।
এই সামিটের ফলে দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশী ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে এবং বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক বিনিয়োগ আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপস্থিত বিশেষজ্ঞরা।