উত্তরার প্রতিষ্ঠানটির নাম ব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল, বাড়ি ২১, ফ্ল্যাট ১বি, ঈসা খা রোড, সেক্টর ৬, উত্তরা। এই প্রতিষ্ঠানটি কোন রকম ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়াই শিক্ষা সংক্রান্ত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। তাদের সার্ভিসের মধ্যে রয়েছে আইএলটিএস, টোয়েফল ও অন্যান্য কোচিং এবং বিদেশি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি সংক্রান্ত সহায়তা দেয়া।
নর্থ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ ও চীনের কতিপয় ইউনিভার্সিটির সাথে তাদের সমঝোতা অনুযায়ী স্থানীয় ছাত্রদের ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর বিনিময়ে তারা ফি ও কমিশন বাবদ টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু এই সার্ভিস ভ্যাটযোগ্য হলেও তারা কোন ভ্যাট নিবন্ধনই নেয়নি এবং ভ্যাট প্রদান করেনি।
অন্যদিকে, বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক, গুলশান ২ নম্বর মোড়ে প্লট ২২ রব টাওয়ারের ৪র্থ তলায় অবস্থিত। এই প্রতিষ্ঠানটিও অনুরূপ শিক্ষা সহায়তা প্রদান করে। ক্যাম্রিয়ান স্কুল ও কলেজের ৭টি শাখার মাধ্যমে তারা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
বিএসবি ভ্যাটের নিবন্ধন নিলেও তারা প্রকৃত বিক্রির হিসাব গোপন করেছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দার দল প্রতিষ্ঠান দুটোতে ৩১ সেপ্টেম্বর অভিযান চালায়। উপপরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
প্রাথমিকভাবে দেখা যায় ব্রিজ গত দুবছরে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ফাঁকি দিয়েছে।তারা ভ্যাট আইনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করেনি।এই দুবছর তারা ২৮ লক্ষ টাকার সেবা বিক্রি করেছে।
অন্যদিকে, বিএসবি নিবন্ধন গ্রহণ করলেও গত তিন বছরে প্রকৃত ৮.৪৩ কোটি টাকার সেবা বিক্রয়ের তথ্য গোপন করেছে। এতে তারা প্রায় ১.৭০ কোটি টাকা ফাঁকির সাথে জড়িত।
এই প্রতিষ্ঠানটি ছাত্রদের নিকট থেকে টিউশন ফি সংগ্রহ করে বিদেশে টাকা পাঠাতেন। এই টাকা লেনদেনে অন্য কোন অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান দুটোর বিরুদ্ধে ভ্যাট আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।