কারণ দেশে কয়েকটি আসরের সফল আয়োজন করেই না সফরকারী দলকে এখানে আসার জন্য আগ্রহী করে তোলা যাবে। ঠিক এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ কোনো দলের আছে কি না, সেই সংশয়ও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যায় না বলেই আগামী জানুয়ারিতে আসার সূচি থাকলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফর নিয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলার উপায় নেই। তাই মার্চের নিউজিল্যান্ড সফর দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে হয় কি না, আছে তেমন সম্ভাবনাও। এ জন্যই বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘এর (নিউজিল্যান্ড সফরের) আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আসার সূচি আছে। তখন যদি আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজনের মতো পরিস্থিতি হয় এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিশ্চিত করে, সে ক্ষেত্রে আমরা ওদের দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করব। এখন পর্যন্ত সূচিতে আগে হোম সিরিজটিই আছে।’
সেটি সামনে রেখেই যে ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে তোড়জোড় চলছে, তা স্বীকারে আপত্তি নেই বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির প্রধান আকরাম খানেরও, ‘এখানে (দেশে) কোনো কিছু না করে তো আমি কাউকে আসতে বলতে পারি না। তাই আমরা বোর্ড সভাপতির নির্দেশনা মেনে ঘরোয়া ক্রিকেটের দিকে জোর দিচ্ছি। কয়েকটি আসর ঠিকমতো করা গেলে আমি নিশ্চিত যে বাইরের দলও আসতে আগ্রহী হবে।’ অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত খেলোয়াড়দের জীবন-জীবিকার ভাবনাও বিসিবির কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ বলে জানালেন এই সাবেক অধিনায়ক, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো ফেরাতে হবেই। আমরা একই সঙ্গে বিভিন্ন স্তরের ক্রিকেটারদের কথাও ভাবছি। জানেনই তো যে জাতীয় দল এবং এইচপির ক্রিকেটারদের নিয়ে ১১ অক্টোবর থেকে একটি ওয়ানডে আসর করতে যাচ্ছি আমরা। এরপর একটি টি-টোয়েন্টি আসরও করব। সেটি করপোরেট আসর হবে না বিসিবির পৃষ্ঠপোষকতায়, তা এখনো চূড়ান্ত নয়। এরপর পর্যায়ক্রমে আমরা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগসহ অন্যান্য আসর শুরু করা নিয়েও কাজ করব।’
বেশ কয়েকটি আসরের পরিকল্পনা থাকায় আপাতত বাইরে যাওয়ার ভাবনা বাদ। দেশেই খেলোয়াড়দের যথাসাধ্য প্রস্তুতির সুযোগ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য তৈরি করতে চান আকরামরা, ‘একাধিক আসর ঠিকমতো করা গেলে খেলোয়াড়দের প্রস্তুতি তো বটেই, দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানো নিয়েও ভাবতে হবে না আশা করি। তত দিনে কভিড পরিস্থিতি আর খারাপ না হওয়ারও প্রত্যাশা থাকবে আমাদের।’