রোববার (২৯ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এ মাসের প্রথম ২৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৪ কোটি ৯৩ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৯০ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪৭ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে কিছুটা বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। প্রবাসী আয়ে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা আগে থেকেই ছিল, তার সঙ্গে আরও আড়াই শতাংশ যোগ করেছে ব্যাংকগুলো। ফলে এখন ৫ শতাংশ বেশি দামে ডলার পাঠাতে পারছেন প্রবাসীরা। অর্থাৎ আন্তব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের যে দাম ঠিক করা হয় তার চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি দাম পাচ্ছেন প্রবাসীরা। এই মুহূর্তে তারা প্রতি ডলারে ১১৬ টাকা পাচ্ছেন। এতে করে তারা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হচ্ছেন।
এদিকে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ ধারাবাহিকভাবে কমে গিয়েছিল। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার আর সেপ্টেম্বরে এসেছে মাত্র ১৩৪ কোটি ডলার যা ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
অর্থসংবাদ/এমআই