গোটা বিশ্বজুড়েই নভেল করোনাভাইরাস মহামারী অর্থনীতি ও জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। এ রোগের থাবা ভারতের ওপরেও চেপে বসে। কভিড-১৯ আটকাতে মার্চের শেষের দিকে লকডাউন জারি করা হয়, যাতে কয়েক মাসের জন্য প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায় দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম। ধাক্কা লাগে বহু মানুষের রুজি-রুটিতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে মোরাটোরিয়াম ঘোষণা করা হয়। প্রথমে তিন মাসের জন্য, পরে তা বাড়িয়ে ছয় মাস করা হয়।
কিন্তু রিজার্ভ ব্যাংকের মোরাটোরিয়াম নীতি ঘোষণার পর বেশকিছু প্রশ্ন ওঠে। বিশেষত ওই সময় ইএমআই না দিতে হলেও কিস্তির টাকার ওপর সুদের বোঝা চাপ ছিল। এমন কথা জানাজানির পর রীতিমতো সমালোচিত হতে থাকে রিজার্ভ ব্যাংকের এ নীতি। মোরাটোরিয়ামের সময় সুদ মওকুফের দাবি ওঠে। বিশেষত এ সুদের ওপর সুদ দেয়া নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে।
এদিকে এসব বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। মামলায় বলা হয়, মহামারীতে যদি কেউ টাকা জমা দিতে না-ই পারে এবং পরে যদি তাকে বাড়তি টাকা দিতে হয়, তাহলে কি আদৌ সুবিধা দেয়া হলো? যদিও ব্যাংকগুলোর বক্তব্য ছিল, এভাবে সুদ মওকুফ করতে গেলে ক্ষতি হবে। তাছাড়া মোরাটোরিয়াম মানে সুদ মওকুফ নয়।
এরপর কেন্দ্রের এ পদক্ষেপের ফলে ঋণগ্রহীতা ও ব্যাংক উভয়েরই সুবিধা হবে। বহু সাধারণ মধ্যবিত্তের সুবিধা হবে। ফলে গৃহঋণ, গাড়ির ঋণ অথবা ফ্রিজ-টিভিসহ অন্যান্য কনজিউমার সামগ্রী ঋণে কিনে ইএমআই দেয়ার ক্ষেত্রে যারা মোরাটোরিয়ামের সুবিধা নিয়েছিলেন, তারা উপকৃত হবেন। এছাড়া যেসব ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্প সংস্থা ২ কোটি রুপি পর্যন্ত ঋণ নিয়েছে, তারাও এর আওতায় পড়বে। সুত্র:বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।