তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ফলে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধিসহ রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমেছে। গত ১২ অক্টোবর পর্যন্ত স্থিতির ভিত্তিতে দেশে বর্তমানে গ্রাস রিজার্ভের পরিমাণ ২১ হাজার ১১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মঙ্গলবার ( ৩১ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, কভিড-১৯ পরবর্তী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধজনিত আন্তর্জাতিক পণ্য সরবরাহের অনিশ্চয়তার কারণে সৃষ্ট দেশের বহিঃখাতের চাপ মোকাবেলা করে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের সন্তোষজনক স্থিতি বজায় রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। পদক্ষেপসমূহের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারকে অধিকতর বাজারমুখীকরণ ও একাধিক হারের পরিবর্তে একক হারের দিকে ধাবিত হওয়ার জন্য পর্যায়ক্রমিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আমদানিকৃত পণ্যের মূল্যের সঠিকতা যাচাইয়ের নিমিত্তে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এগুলো প্রতিপালনে প্রতিনিয়ত তদারকি চলছে। আর সরকারি বৈধ পথে প্রেরিত রেমিট্যান্সের বিপরীতে ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রদান করেছে।
এছাড়া আমদানির-রপ্তানির ক্ষেত্রে আন্ডার-ইনভয়েসিং ও ওভার-ইনভয়েসিং বন্ধের জন্য কার্যকরী মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে অথনৈতিকভাবে বাংলাদেশের প্রভূত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। প্রায় ১৫ বছরের পথ-পরিক্রমায় আমরা ইতিমধ্যে নিন্ম আয়ের দেশ হতে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তীর্ণ হয়েছি এবং স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছি। বর্তমান সরকারের আমলে ২০০৯ থেকে ২০২২ সালে গড়ে ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। যেখানে উন্নয়নশীল দেশসমূহের গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক এক শতাংশ। একই সময়ে মাথাপিছু জিএনআই গড়ে ৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই