যাঁদের হাইপ্রেসার আছে তাঁদেরও রক্তনালিতে ব্লক হতে পারে। তাই প্রেসারের ওষুধ কখনো বাদ দেওয়া যাবে না। বয়সের কারণেও রক্তনালিতে ব্লক হতে পারে। রক্তনালি ব্লকের আরেকটি কারণ হলো, রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল।
কোলেস্টেরল বেশি থাকলে রক্তনালির ভেতরে জমে ব্লক তৈরি করে। কিছু রোগ আছে, যেগুলো শরীরে ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ তৈরি করে, সেগুলো থেকেও রক্তনালিতে ব্লক হতে পারে।
লক্ষণ
হার্টের রক্তনালিতে ব্লক থাকলে বুকে ব্যথা হয় এবং শ্বাসকষ্ট হয়।
একটু পরিশ্রম করলেই বুকে ব্যথা হয়।
অতি অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যাওয়া এবং শ্বাসকষ্ট হওয়া।
রক্তনালির ব্লক নির্ণয়ে পরীক্ষা
হার্টের কিছু টেস্ট আছে, যেমন ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম, ইটিটি ও এনজিওগ্রাম। এগুলো করে হার্টের ব্লক বা রক্তনালির ব্লক নির্ণয় করা যায়।
চিকিৎসা
রক্তনালির ব্লক বা হার্টের ব্লক হলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এর রয়েছে চারটি কার্যকর চিকিৎসা।
ব্যায়াম ও খাবারদাবার : প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে পাঁচ দিন ব্যায়াম করতে হবে। দ্রুত হাঁটা একটি ভালো ব্যায়াম। হার্ট ভালো রাখার জন্য ফলমূল, শাক-সবজি এবং মাছ বেশি খাবেন। সামুদ্রিক মাছ হার্টের জন্য বেশি ভালো। রান্নায় খুবই কম তেল ব্যবহার করতে হবে।
ওষুধ: সঠিক নিয়ম মেনে চললে অনেক কম ওষুধেও হার্ট ব্লকের রোগীদের ভালো রাখা সম্ভব। কার কী ওষুধ প্রয়োজন সেটা নির্ভর করে রোগের তীব্রতার ওপর এবং সেটা আপনার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ঠিক করে দেবেন।
স্টেন্টিং বা রক্তনালিতে রিং স্থাপন : হার্টের রক্তনালিতে চর্বি জমে ব্লক হয়ে যায়। রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে হার্ট ভালোভাবে কাজ করতে পারে না। তাই হার্টের রক্তনালির ব্লকের স্থানে একটি রিং বসিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়। একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এই সিদ্ধান্ত নেবেন কার ব্লকে রিং বসাতে হবে অথবা কার বসাতে হবে না। ইমার্জেন্সি হার্ট অ্যাটাকে এই স্টেন্টিং বা রিং স্থাপন একটি উন্নতমানের জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসা।
বাইপাস সার্জারি বা ওপেন হার্ট সার্জারি : ব্লকের পরিমাণ এবং সংখ্যা অনেক বেশি হলে অনেক সময় রিং স্থাপন করা সম্ভব হয় না। তাঁদের ওপেন হার্ট সার্জারি করে, ব্লকগুলো বাইপাস করে বিকল্প রক্তনালি তৈরি করে দেওয়া হয়, যাতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিকভাবে করতে পারে।
হার্টের রক্তনালির ব্লক হলেই জীবন শেষ নয়। আপনার হার্ট স্পেশালিস্টের নিবিড় তত্ত্বাবধানে থেকে আপনি পেতে পারেন আগের মতো নতুন জীবন।
অর্থসংবাদ/এসএম