কৃষি খাতকে স্মার্ট কৃষিতে রূপান্তর করতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এ লক্ষে খামারি অ্যাপের ব্যবহার সম্প্রসারিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
খামারি অ্যাপ ব্যবহার করলে ধান আবাদে সারের পরিমিত ব্যবহার করা যাবে, এতে ধানের জমিতে বিঘাপ্রতি সারের খরচ এক হাজার টাকা কমবে। ধানের ফলনও বিঘাপ্রতি এক মণ বাড়বে।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা মুশুদ্দি উত্তরপাড়া গ্রামে খামারি অ্যাপের কার্যকারিতা যাচাই ও উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের ফসল কর্তন ও কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী গ্রামে বাস করে। বাংলাদেশ হচ্ছে গ্রামীণ বাংলাদেশ। এ গ্রামীণ বাংলাদেশের মানুষের প্রধান পেশা হচ্ছে কৃষি। সেই কৃষিকে যদি আমরা উন্নত করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের উন্নতি হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারি কর্মপরিকল্পনার কারণে দেশের কৃষি খাত অনেক দূর এগিয়ে গেছে। অভাব অনটন আর মঙ্গার দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের কেউ এখন না খেয়ে মারা যায় না।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, স্কয়ার হাসপাতালের উপদেষ্টা ডাক্তার সানোয়ার হোসেন, ধনবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর ফারুক আহমেদ।
কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, আমন্ত্রিত ব্যক্তিরা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এবং কৃষকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের আয়োজনে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠান হয়।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ধনবাড়ী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন।
অর্থসংবাদ/এসএম