শুক্রবার (৪ নভেম্বর) পরীক্ষা সংক্রান্ত এ নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। দেশের সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়।
নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রাক প্রাথমিক পর্যায় প্লে, নার্সারি ও কেজি এবং প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণিতে শ্রেণিতে কোনো পরীক্ষা হবে না।
প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের শিক্ষক সহায়িকার নির্দেশনা অনুসরণ করে মূল্যায়ন সম্পন্ন করতে হবে। প্রাথমিক স্তরের পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে শতভাগ ধারাবাহিক মূল্যায়ন করতে হবে। প্রথম শ্রেণিতে কোনোরূপ প্রান্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।
প্রাথমিকে শিক্ষা অধিদপ্তর মূল্যায়ন নির্দেশনায় জানিয়েছে, প্রথম শ্রেণির শিক্ষক সহায়িকার শেষে ধারাবাহিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা সংযুক্ত রয়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ওয়েবসাইটেও এ নির্দেশিকাটি আপলোড করা আছে। এছাড়াও শিক্ষকদের মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা ও তথ্য সংরক্ষণের জন্য প্রতিটি বিষয়ের শিখনফল বা অর্জন উপযোগী যোগ্যতার নম্বর উল্লেখ পূর্বক শিক্ষক ডায়েরি-১ এবং শিক্ষক ডায়েরি-২ নামে ২টি এমএস ওয়ার্ড ও পিডিএফ ফাইল ওই ওয়েবসাইটে আপলোড করা আছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকরা ওই ফাইল ডাউনলোড করে নির্দেশনা অনুযায়ী মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন এবং প্রতি প্রান্তিকে শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতি প্রতিবেদন তৈরি করে তাদের দিতে করতে পারবেন।
অর্থসংবাদ/এমআই