দিবসটি উপলক্ষে বিকেল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সমবায় অধিদপ্তরের সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় সমবায় পুরস্কার প্রদান-২০২২ প্রদান করা হবে। সমবায় সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা এবং সমবায় আন্দোলনে গতিশীলতা আনয়নের জন্য প্রতিবছর নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবার দিবসটি দেশব্যাপী উদযাপন করা হয়।
এবার জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে ১০টি ক্যাটাগরিতে ১০টি সমবায় সমিতিকে জাতীয় সমবায় পুরস্কার প্রদানের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। সমবায় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন।
৫২তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সমবায় শেখায় একতা, সমবায় আনে সমৃদ্ধি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্মিলিত ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার দ্বারা স্বনির্ভরতা অর্জন তথা আর্থসামাজিক উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি একটি ফলপ্রসূ পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রাম সমবায়ের মাধ্যমে একটি স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। সমবায়কে উন্নয়নের অন্যতম প্রায়োগিক পদ্ধতি বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সংবিধানে সমবায়কে মালিকানার অন্যতম খাত হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। জাতির পিতার অর্থনৈতিক দর্শন ‘সমবায়' এর শক্তিকে একটি গণমুখী সমবায় আন্দোলনে পরিণত করতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
৫২তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে সরকারের লক্ষ্য পূরণে দেশের সমবায় সংগঠনগুলো অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে দেশের সংবিধানে সমবায়কে মালিকানার দ্বিতীয় খাত হিসেবে নির্ধারণ করেন। বঙ্গবন্ধুর অন্যতম উন্নয়ন দর্শন ছিল সমবায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা চারটি ভিত্তি নির্ধারণ করেছি-স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার। সমবায়ের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন করে স্মার্ট নাগরিক এবং স্মার্ট সমাজ তথা অর্থনীতিকে স্মার্ট করে গড়ে তোলা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি।
অর্থসংবাদ/এমআই