নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহার করে ব্যাটারি চার্জ এবং স্বল্প খরচে ব্যাটারি বিনিময় করার স্টেশন চালু করেছে টাইগার নিউ এনার্জি। সারাদেশে এমন চার্জার স্টেশন ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারী ওয়েভমেকার পার্টনারসের নেতৃত্বে কাজ শুরু করবে।
ওয়েভমেকার পার্টনারস একটি নেতৃস্থানীয় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম, যার টেকসই এবং উদ্ভাবনী স্টার্টআপগুলোকে সমর্থন করার একটি শক্তিশালী ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে।
যখন বিশ্বব্যাপী বিলাসবহুল ব্র্যান্ডগুলো বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিপ্লবকে আলিঙ্গন করতে শুরু করছে, এমন সময়ে বাংলাদেশে টাইগার নিউ এনার্জি কম্পানিটি উদ্ভাবনীয় পদ্ধতির নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি অত্যাধুনিক ব্যাটারি সোয়াপিং প্রযুক্তি প্রদান করে বাংলাদেশের ক্লিন এনার্জি শিফটের অগ্রভাগে অবস্থান করছে।
দৈনন্দিন ব্যবহারে তিন চাকার ব্যাটারিচালিত যানবাহনগুলোয় সাধারণত ব্যবহৃত হয় ‘লেড এসিড’ ব্যাটারি, যার আয়ুষ্কাল কম এবং চার্জ দেওয়ার সময় অনেক বেশি। লেড এসিড ব্যাটারির ব্যবহারের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
একটি ব্যাটারি চার্জ হতে সময় লাগে প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা। স্বল্প আয়ের চালকদের বিপুল সময় এবং উপার্জন নষ্ট হয় ব্যাটারি পুনরায় চার্জ দিতে। এছাড়া একবার এই ব্যাটারি পরিবর্তনের খরচও অনেক বেশি। আর এ সমস্যার সমাধানে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন গ্রাজুয়েট, নিকোল মাও এবং ইউয়ে ঝু তিন চাকার ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য নিয়ে এসেছে যুগান্তকারী এক উদ্ভাবন।
তারা উদ্ভাবন করেছে ‘লিথিয়াম আয়ন’ ব্যাটারি। লেড এসিড ব্যাটারির তুলনায়, লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব।
টাইগার নিউ এনার্জি পরিবেশবান্ধব পরিবহনের একটি সবুজ বিপ্লব রচনা করার লক্ষ্যে চালু করেছে ‘লিথিয়াম আয়ন’ ব্যাটারি বিনিময় করার স্টেশন। এই স্টেশনগুলো ব্যবহার করে চালকরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই নিজের ব্যাটারি পরিবর্তন করে নতুন একটি চার্জ করা ব্যাটারি নিতে পারবেন। তাছাড়া তাদের ব্যাটারি পরিবর্তন স্বল্প খরচ ছাড়াও চালকরা সম্পূর্ণভাবে চার্জ করা ব্যাটারি পেয়ে যেতে পারবেন।
যুগান্তকারী এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য হার্ভার্ডের দুই উদ্যোক্তা বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশকে। ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশের যাতায়াত ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে পরিবেশবান্ধব করে তোলাটা দুরূহ কাজ। আর বেশীরভাগ যানবাহন এখনো তেল বা গ্যাসের উপর নির্ভরশীল। এই দৃশ্যকল্প বদলে দেওয়ার জন্যই টাইগার নিউ এনার্জি নিয়ে এসেছে চার্জ দেওয়ার উদ্ভাবনী ব্যবস্থা।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ২০৩০ এর মধ্যে সবার কাছে সাশ্রয়ী, অভিনব এবং পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া। সেই লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে টাইগার নিউ এনার্জি।
অর্থসংবাদ/এমআই