এ নিয়ে দেশে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত মানুষের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৩ লাখ ৭৩ হাজার ১৫১। করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৪০। মোট সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৮৬ হাজার ৬৩১ জন।
দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
আগের দিনের তুলনায় আজ নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা ও মৃত্যু বেড়েছে। তবে শনাক্তের হার কমেছে।
গতকাল মঙ্গলবার ১ হাজার ৪৯৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। মৃত্যু হয়েছিল ৩০ জনের। আর পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার।
শুরুর দিকে দেশে সংক্রমণ হয়েছে ধীরগতিতে। মে মাসের মাঝামাঝি সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে শুরু করে। আর জুনে সংক্রমণ পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করে। মাস দুয়েক ধরে দৈনিক নতুন রোগীর সংখ্যা কমেছে। এ সময়ে সংক্রমণ শনাক্তের পরীক্ষার সংখ্যাও আগের চেয়ে কম হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশ কিছুদিন ধরে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হলেও এখনো তা স্বস্তিকর মাত্রায় আসেনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা নির্দেশক অনুযায়ী, কোনো দেশে শনাক্তের হার টানা তিন সপ্তাহ ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধরা যায়। সে হিসাবে দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে।