আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ পর্যবেক্ষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্টোবরে ১৩১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৪ জন নিহত ও ৭৬ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩০ দশমিক ৫৩ শতাংশ, নিহতের ৩৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ ও আহতের ১৭ দশমিক ৭১ শতাংশ। অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে ১৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪১ জন নিহত ও ১৩২ জন আহত হয়েছেন, সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে ২৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও ৮৪ জন আহত হয়েছেন।
সড়কে দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ৪ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১২০ জন চালক, ৩৬ জন পথচারী, ২৮ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫২ জন শিক্ষার্থী, ৩ জন শিক্ষক, ৬৮ জন নারী, ৩০ জন শিশু, ২ জন সাংবাদিক, ২ জন চিকিৎসক, একজন আইনজীবী, একজন প্রকৌশলী এবং ১০ জনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।
সড়কে দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২ জন পুলিশ সদস্য, একজন ফায়ার সার্ভিস সদস্য, ২ জন চিকিৎসক, ২ জন সাংবাদিক, একজন আইনজীবী, একজন প্রকৌশলী, ৯৮ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৩৬ জন পথচারী, ৪৭ জন নারী, ২৬ জন শিশু, ১৯ জন শিক্ষার্থী, ১১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৩ জন শিক্ষক ও ১০ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী রয়েছেন।
এসময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংঘটিত ৫৬৪টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪ দশমিক ৮২ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ২১ দশমিক ৮০ শতাংশ বাস, ১৮ দশমিক ৬১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩ দশমিক ১ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫০ দশমিক ৮১ শতাংশ গাড়িচাপার ঘটনা, ১৭ দশমিক ১ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৫ দশমিক ১৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ বিবিধ কারণে এবং শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।