আজ শনিবার নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।
ডিজিটাল সেন্টারের বর্ষপূর্তি উদযাপনের দিনে সিংড়ায় বাংলাদেশ ভারত ডিজিটাল সেবা ও কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় বিডিসেট সেন্টার, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এবং হার পাওয়ার প্রকল্পের প্রশিক্ষণের ওরিয়েন্টশন উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এ সময় অন্যদের মাঝে এটুআইর প্রকল্প পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ ভূঞা, নাটোরের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্পের উপপরিচালক মোখতার আহমেদ এবং বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সেবা ও কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোগ দেশ ছাপিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসা কুড়িয়েছে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের রোল মডেল হবে ডিজিটাল সেন্টার। এই মডেল শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও প্রশংসিত। বাংলাদেশের এই মডেল অনেক দেশেই প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। ফিলিপাইনের বাংসোমারো প্রদেশে আমাদের ডিজিটাল সেন্টারের আদলে ১০৫টি ওয়ান স্টপ সেন্টার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছি। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, ঘানা, কম্বোডিয়াতেও ক্রস বর্ডারের মাধ্যমে এই মডেল রেপ্লিকেট করতে কাজ চলমান আছে।
পলক আরও বলেন, জন্ম নিবন্ধন-মৃত্যু নিবন্ধন থেকে শুরু করে, বিদ্যুতের বিল দেওয়া, বিদেশে যাওয়ার রেজিস্ট্রেশন করা, আর্থিক লেনদেন এসব কাজ করার জন্য যেখানে, উপজেলা বা জেলা সদরে যেতে হতো, শত শত টাকা খরচ করতে হতো। দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হতো। যেই কাজ করতে তিন মাস সময় লাগত, রেকর্ড রুমে ঢুকে যে ধুলা যে ময়লা, যে কষ্ট এবং দালালদের যে দৌরাত্ম্য, দুর্নীতির আখড়া, সেইটাকে কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুলভ মূল্যে স্বল্প সময়ে দুর্নীতি মুক্ত উপায়ে মানুষের দোরগোরায় সেবাটা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ডিজিটাল উদ্যোক্তা ভাই-বোনদের মেধা এবং শ্রমে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ তিন মাস সময়টাকে কমিয়ে তিন মিনিটে নামিয়ে এনেছেন। এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ।
এটুআইর পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ৯ হাজার ৩৯৭টি ডিজিটাল সেন্টারে ১৭ হাজার ৮০০ এর অধিক নারী-পুরুষ উদ্যোক্তা ৩৮৫টিরও বেশি সরকারি-বেসরকারি সেবা নাগরিককে সহজে, দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রতি মাসে ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৭৫ লাখেরও বেশি সেবা প্রদান করা হচ্ছে। উদ্যোক্তারা এ পর্যন্ত নাগরিকদের ৭৮ দশমিক ১৪ শতাংশ সময়, ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ ব্যয় ও ১৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ যাতায়াত সাশ্রয় করেছেন।
নাটোর জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইসিটি বিভাগের হার পাওয়ার প্রকল্পের উপপরিচালক নিলুফা ইয়াসমিন।
অর্থসংবাদ/এমআই