জো বাইডেন কিনছে জিল বাংলা-শ্যামপুর সুগার

জো বাইডেন কিনছে জিল বাংলা-শ্যামপুর সুগার

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লোকসানি কোম্পানি জিল বাংলা সুগার মিলস ও শ্যামপুর সুগার মিলসের শেয়ার নিয়ে আবারও কারসাজির পায়তারা করছে এক শ্রেনীর চক্র। বহুদিন ধরেই লোকসানে ডুবে আছে ‘জেড’ ক্যাটাগরির এই প্রতিষ্ঠান দুটি। বছরের পর বছর ধরে লোকসানে ডুবে থাকা কোম্পানি দুটি সর্বশেষ কবে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য ডিএসইর ওয়েবসাইটেও নেই।


কোম্পানি দুটির শেয়ার নিয়ে আগেও কারসাজি হয়েছে। গুজব ছড়িয়ে শেয়ারের দরও বৃদ্ধির অভিযোগ আছে। এসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে বহুবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সাবধান করছে বিনিয়োগকারীদেরকে। তবে সম্প্রতি আবার লোকসানি কোম্পানি দুটির শেয়ার নিয়ে কারসাজির পায়তারা চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কোম্পানি দুটির মালিকানায় আসছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হচ্ছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায় বাস্তবে এর কোন ভিত্তি নেই। একাধিক বিনিয়োগকারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এ ধরণের গুজবেই কান দিচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।


জিল বাংলা সুগার মিলস
সর্বশেষ হিসাববছরেও জিলবাংলা সুগার মিলস বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। তাছাড়া সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৮৯ টাকা ০৭ পয়সা লোকসান হয়েছে। তবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর থেকে কোনো বছরে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়া কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমেনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শেয়ারটিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিনিয়োগ নিয়ে আসছে এমন খবরে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। মাত্র ১০ কার্যদিবসের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়ে ১২৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১৬১ টাকা ৮০ পয়সা হয়েছে। যেখানে নিয়মিত লভ্যাংশ দেওয়া অনেক কোম্পানির শেয়ার দর এখনও ফ্লোর প্রাইসে পড়ে আছে। শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন কৃত্রিম সংকট তৈরী করার মাধ্যমে শেয়ার দর বাড়াচ্ছে এক শ্রেনীর চক্র। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে সাধারন বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে প্রতিদিনই ডিএসইর ওয়েবসাইটে এসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।


শ্যামপুর সুগার মিলস
এর আগেও শ্যামপুর সুগার মিলসের শেয়ার নিয়ে কারসাজি হয়েছে। শেয়ারটি কৃত্রিম সংকট তৈরী করার মাধ্যমে দর বাড়ানো অভিযোগ রয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কায় ডিএসই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করেছে। তবুও সম্প্রতি সময়ে দেখা যায় শেয়ারটির দর লাফিয়ে বাড়ছে। গত ২৩ অক্টোবর শেয়ারটির দর ছিলো ১৪০ টাকা ৭০ পয়সা। আজ ১৩ নভেম্বর বাজার শেষে দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৬ টাকায়। অর্থাৎ ১৫ কার্যদিবসের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়েছে ৭৫ টাকা ৩০ পয়সা।


সর্বশেষ হিসাববছরেও শ্যামপুর সুগার মিলস বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। তাছাড়া সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৪৩ টাকা ৬২ পয়সা লোকসান হয়েছে।


জানা গেছে, এর আগে টানা ৫ বছর বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেয়ায় ডিএসই কর্তৃপক্ষ জিল বাংলা সুগার মিলসসহ ১৫টি কোম্পানিকে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত করার জন্য ২০১৮ সালে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়িয়ে জেড গ্রুপে থাকা এই কোম্পানির শেয়ার দর কৃত্রিমভাবে বাড়াচ্ছে একটি চক্র।


এ বিষয়ে জানতে কোম্পানি দুটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কারো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত