মুসাফির ব্যক্তির ওপর জুমার নামাজ আদায় করা ওয়াজিব নয়। রাসুল সা. বলেছেন,
من كان يؤمن بالله واليوم الآخر فعليه الجمعة إلا مريضاً أو مسافراً أو امرأة أو صبياً أو مملوكاً
আল্লাহ ও পরকালের ওপর যাদের ইমান আছে, তাদের ওপর জুমা ওয়াজিব। তবে অসুস্থ, মুসাফির, নারী, শিশু ও ক্রিতদাসদের ওপর জুমা ওয়াজিব নয়। (বায়হাকি, দারাকুতনি)
তবে মুসাফির ব্যক্তি জুমা পড়তে পারে এবং জুমার ইমামতিও করতে পারে। মুসাফির জুমার ইমমতি করলে তার ও সব মুক্তাদির জুমা শুদ্ধ হবে। কোনো মসজিদের খতিব যদি সফর পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করে জুমার ইমমতি করেন, তাহলে তার ও মুক্তাদিদের জুমার কোনো ক্ষতি হবে না।
জুমার দিন জুমার নামাজ ওয়াজিব মুসলমান প্রাপ্তবয়স্ক, জ্ঞানসম্পন্ন (যিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন নন) মুকিম (যিনি মুসাফির নন) স্বাধীন (যিনি ক্রিতদাস নন) নগর বা লোকালয়ের অধিবাসী পুরুষদের ওপর; যাদের এমন কোনো গ্রহণযোগ্য অসুবিধা, অসুস্থতা বা বার্ধক্য নেই যে কারণে তিনি মসজিদে উপস্থিত হতে ও জুমা আদায় করতে অক্ষম।
অর্থসংবাদ/এমআই