গবেষণা সংস্থা স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড মিডলইস্ট ও দারের প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব নির্মাণ প্রযুক্তি গ্রহণের ফলে এ অঞ্চলের ২ ট্রিলিয়ন ডলারের নির্মাণ খাতে প্রবৃদ্ধি তৈরি করা সম্ভব। এতে করে কার্বন নির্গমন ৫০-৬০ শতাংশ কমতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৩৫ সালের মধ্যে নতুন পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগের মাধ্যমে উদ্ভাবনী ও টেকসই নির্মাণ প্রযুক্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বৈশ্বিক নেতা হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
প্রতিবেদনে সৌদি আরবের এনইওএম আধুনিক শহর ও কাতারের লুসাইল বিনোদন শহরের মতো বড় প্রকল্পগুলো উদাহরণ হিসেবে উদ্ধৃত করা হয়েছে। যেখানে টেকসই প্রযুক্তিগুলো নিট শূন্য কার্বন নির্গমন লক্ষ্য অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।
‘বিল্ড এনভায়রনমেন্ট’ শব্দটি দ্বারা মানব-সৃষ্ট চারপাশের পরিবেশকে চিহ্নিত করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে ভবন, এলাকা, শহর, পানি সরবরাহ এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ শক্তির নেটওয়ার্কের মতো অবকাঠামোগত ব্যবস্থা। প্রতিবেদনে নির্মাণ খাতে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাবের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এ খাতের প্রবৃদ্ধি থেকে বার্ষিক এ অঞ্চলের ১০ শতাংশ জিডিপি আসবে বলে পূর্বাভাস করা হয়েছে।
স্ট্র্যাটেজি ও মধ্যপ্রাচ্যের অংশীদার ড. ইয়াহিয়া আনুতি টেকসই প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়ার অগ্রদূত হিসেবে এ অঞ্চলের অনন্য অবস্থানকে তুলে ধরেন। তিনি জানান, ‘বিল্ড এনভায়রনমেন্ট’ তৈরি হলে উল্লেখযোগ্য হারে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ কমে আসবে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, টেকসই নগর উন্নয়নের মাধ্যমে এ কার্বন নির্গমন হ্রাস এ অঞ্চলকে তার নিট শূন্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রতিবেদনে সৌর ফোটো-ভোলটাইকস, সবুজ নির্মাণ উপকরণ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন সিস্টেমের মতো বিদ্যমান প্রযুক্তিগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা অদূর ভবিষ্যতে ব্যবহৃত হতে পারে। প্রতিবেদনটি নতুন উদ্ভাবনগুলোকে বিকাশ, পরীক্ষা ও একত্র করার জন্য অতিরিক্ত বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই