বিএসইসি নারী উদ্যোক্তাদের সকল ধরণের সহায়তা দিতে প্রস্তুত

বিএসইসি নারী উদ্যোক্তাদের সকল ধরণের সহায়তা দিতে প্রস্তুত

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নারী উদ্যোক্তাদের সকল ধরণের সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন কমিশনের কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।


মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিএসইসির উদ্যোগে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে ‘অরেঞ্জ বন্ড ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।


বৈঠকে বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ অরেঞ্জ বন্ডের উপর তথ্যবহুল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। তিনি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অরেঞ্জ বন্ড নিয়ে বিস্তারিত ধারণা তুলে ধরেন এবং এর ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি ‘অরেঞ্জ বন্ড’ এর ধরণগুলো, এর ইস্যুয়ার ও ইস্যু সংক্রান্ত বিষয়গুলো, ফান্ডের ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ে তুলে ধরে কিভাবে দেশে ‘অরেঞ্জ বন্ড’ নিয়ে আসা যায় এবং কিভাবে তা কাজে লাগানো যেতে পারে তা ব্যাখ্যা করেন।


অরেঞ্জ বন্ডের মাধ্যমে অর্থায়ন থেকে যেন নারীরা সহজেই সুবিধা পেতে পারে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখার কথা উল্লেখ করেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাথে সহায়ক ইকোসিস্টেম সৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় গাইডলাইন তৈরির জন্য বিএসইসি ইউএনডিপির সাথে কাজ করছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন ও ইউএনডিপি বাংলাদেশে সাসটেইনেবিলিটি বন্ড গাইডলাইন তৈরি করছে বলে জানান তিনি। যৌথভাবে তিনি উপস্থিত নারী উদ্যোক্তাদের আগ্রহী হয়ে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান এবং বিএসইসি এক্ষেত্রে সকল ধরণের সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলে জানান। তিনি বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের অরেঞ্জ বন্ড বিষয়ক নানাবিধ প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।


অরেঞ্জ বন্ডের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন অংশীদার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীজনদের নিয়ে উক্ত গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষত নারীদের জন্য তৈরি অরেঞ্জ বন্ড সম্পর্কে আয়োজিত উক্ত বৈঠকে দেশের নারী উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করেন।


বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসইসির কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম। তিনি বৈঠকে আগত অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ দেন এবং তাদের মূল্যবান মতামত জানানোর অনুরোধ করেন। দেশের সর্বত্র নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা আনয়নে কাজ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। আর সেক্ষেত্রে অরেঞ্জ বন্ড বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি জানান।


বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের অপারেশর অফিসার, ইএসজি এডভাইজার- সাউথ এশিয়া, ইনভারমেন্টাল, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্নেন্স (ইএসজি) লোপা রহমান বৈঠকে সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অরেঞ্জ বন্ডসহ টেকসই উন্নয়ন সম্পৃক্ত বন্ড, সোশাল ও জেন্ডার সম্পৃক্ত বন্ড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি এক্ষেত্রে বিদ্যমান সুবিধা-অসুবিধা এবং সম্ভাবনা তুলে ধরেন।


বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে ইকমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিআইর ভাইস প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার, চালডালের চিফ অব স্টাফ ও গো গো বাংলা লজিসটিকসের পরিচালক ইশরাত জাহান নাবিলা, টেক সলিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনিন নাহার, এফবিসিআইর পরিচালক হাসিনা নেওয়াজ, ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের এডভাইজার ফর স্ট্রাটেজি অ্যান্ড বিসনেস ডেভেলপমেন্ট রাশেদ মাকসুদ, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও বিজনেস ইনিসিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, সিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম ফারুক, আইডিসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক খুরশিদ আলম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফরিদ আহমেদ, ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) চিফ অব অপারেশন মো. মনোয়ার হোসেন কথা বলেন। বক্তারা ‘অরেঞ্জ বন্ড’ এর নানা বিষয়ে আলোচনা করেন এবং মতামত জানান। এছাড়াও উক্ত বৈঠকে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. সুবর্ণ বড়ুয়া এবং বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


গোলটেবিল বৈঠকে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ), সোশাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনসহ (এসএমই ফাউন্ডেশন) বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন। বৈঠকে বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশের আর্থিক খাত সংশ্লিষ্টরা দেশের পুজিবাজার এবং বন্ড বাজারের বিষয়ে একসাথে কাজ করছেন বলে জানান এবং বিশেষভাবে ‘অরেঞ্জ বন্ড’ এর সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সমন্বিত উদ্যোগের কথা জানান।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত