বৈদেশিক ঋণের অর্থছাড় কমেছে ১৭ শতাংশ

বৈদেশিক ঋণের অর্থছাড় কমেছে ১৭ শতাংশ
দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে চলছে ধীরগতি। আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে। এ কারণে বৈদেশিক ঋণ ছাড়েও প্রভাব পড়েছে। গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রায় ৩৫ কোটি ডলার বা ১৭ শতাংশ কম অর্থছাড় হয়েছে। তবে একই সময়ে ঋণ পরিশোধ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসের (জুলাই-অক্টোবর) বৈদেশিক ঋণ ছাড়ের তথ্য প্রকাশ করেছে। এখানে এ তথ্য উঠে এসেছে। তবে ঋণ ছাড় কমলেও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে ঋণের সুদ-আসল পরিশোধের পরিমাণ।

ইআরডির তথ্যে দেখা যায়, চার মাসে মোট বৈদেশিক ঋণ ছাড় হয়েছে ১৬২ কোটি ৬২ লাখ ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে ছাড় হয়েছিল ১৯৭ কোটি ৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ছাড় কমেছে ৩৫ কোটি ডলার। ঋণ ছাড়ের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে আছে জাইকা। এর পরের অবস্থানে রয়েছে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি। তবে এবার বৈদেশিক ঋণ ছাড় কম হলেও বেড়েছে প্রতিশ্রুতির পরিমাণ। গত অর্থবছরের এ সময়ে ৪১ কোটি ৩৮ লাখ ডলার বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল। এবার ৩৬২ কোটি ডলার বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।

ইআরডির তথ্যমতে, চার মাসে সবচেয়ে বেশি ৫১ কোটি ডলার বৈদেশিক ঋণ ছাড় করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বিশ্বব্যাংক ছাড় করেছে ৩৩ কোটি ডলার। এডিবি ছাড় করেছে ২৯ কোটি ডলার। রাশিয়া ছাড় করেছে ২৬ কোটি ডলার। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ছাড় করেছে ৯ কোটি ২৪ লাখ ডলার আর চীন ছাড় করেছে ৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা ৯ কোটি ডলার ছাড় করেছে।

অর্থসংবাদ/এমআই

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ