প্রকল্পের মেয়াদ শেষে ডিজিটাল ভূমিসেবা মনিটরিং ও রক্ষণাবেক্ষণে ‘অটোমেটেড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এএলএএমএস-অ্যালামস) কার্যক্রম গ্রহণ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২২ নভেম্বর) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপির মাসিক (গত অক্টোবর পর্যন্ত) পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এরই মধ্যে অ্যালামস কার্যক্রমের অনুমোদন পাওয়া গেছে। এ কার্যক্রম অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘সমন্বিত বাজেট ও হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি’ আইবাস এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা (জেমস)’ কার্যক্রমের অনুরূপ।
অ্যালামস কার্যক্রম পুরোদমে চালু হলে আরও বেশি দক্ষতার সঙ্গে ভূমি ব্যবস্থাপনায় তথ্য-উপাত্ত ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা, ডিজিটাল সার্ভিস বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ডিজিটাল পদ্ধতি, আইন, বিধি, নীতি ও ম্যানুয়াল হালনাগাদ করে সময়পোযোগী করা, ডিজিটাল ভূমিসেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা এবং স্মার্ট ভূমিসেবা সম্পর্কে নাগরিকের জিজ্ঞাসার উপযুক্ত সমাধান দেওয়া সম্ভব হবে বল ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
ওয়ারিশ সম্পদ তথা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত পারিবারিক সম্পদ সবাই বণ্টননামা দলিলের মাধ্যমে নিবন্ধন করে নামজারি করে নিলে দেশে ভূমিবিষয়ক মামলা-মোকদ্দমা অনেক কমে আসবে বলে সভায় জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশে ভাই-ভাই কিংবা ভাই-বোনসহ বেশিরভাগ পারিবারিক মধ্যে বিরোধের অন্যতম কারণ রেজিস্ট্রি বণ্টননামা দলিল ছাড়া মৌখিকভাবে কিংবা সাধারণ কাগজে লিখে আপস সম্পত্তি বণ্টন বা ভাগ করা। পরবর্তীতে সম্পদের মূল্যবৃদ্ধি কিংবা নানা স্বার্থসংশ্লিষ্ট কারণে পারিবারিক আপস ভেঙে যায়। জন্ম নেয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বিরোধ।
রেজিস্ট্রি বণ্টননামার ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন ভূমিমন্ত্রী। এছাড়া পারিবারিক সম্পদ বণ্টনে বোনের অধিকার রক্ষার বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখার ব্যাপারেও গুরত্বারোপ করেন ভূমিমন্ত্রী।
একাধিক ওয়ারিশ বা একাধিক ক্রেতার যার যার প্রাপ্য অংশ অনুযায়ী জমি নিজ নিজ নামে আলাদাভাবে সুনির্দিষ্ট করে দলিলে উল্লেখ করে লিখিত দলিল সম্পাদন করলে তাকে বণ্টননামা তথা বাটোয়ারা দলিল বলে। বণ্টননামা বা বাটোয়ারা দলিল রেজিস্ট্রি করে নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে নামজারি করতে হয়। বাটোয়ারা দলিল ওয়ারিশদের মধ্যে সম্পত্তি বণ্টনের মৌলিক প্রমাণক। বণ্টননামা দলিলের পর ওয়ারিশ সম্পত্তির নামজারি করাও গুরুত্বপূর্ণ। রেজিস্ট্রি বণ্টননামা দলিল করে নামজারি করা না থাকলেও ঝামেলায় পড়তে হতে পারে ভূমি মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সভায় ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মন্ডলসহ ভূমি মন্ত্রণালয় এবং অধীন দপ্তর/সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এসএম