ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ কমে ১৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে

ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ কমে ১৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর থেকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেই চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে দেশে ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ এসে ঠেকেছে ১৫.৮২ বিলিয়ন ডলারে। আমদানি ব্যয়ের তুলনায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় না বাড়ায় রিজার্ভ কমছে বলে মনে করছেন ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২৩ নভেম্বর দেশের ব্যালেন্স অফ পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম৬) অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ১৯.৫২ বিলিয়ন ডলার। তবে এই অঙ্কের নিট রিজার্ভ, অর্থাৎ ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ আরও ৩.৭ বিলিয়ন কম বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র।


অর্থাৎ, বর্তমানে দেশে ব্যবহারযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ রয়েছে ১৫.৮২ বিলিয়ন ডলার।


ব্যাংকাররা বলছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি, ভোগ্যপণ্য ও পরিবহন খাতে খরচ বেড়েছে। ফলে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেরও আমদানি ব্যয় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ না বাড়ায় তৈরি হয়েছে রিজার্ভ সংকট।


এদিকে, আইএমএফ'র নিট হিসাব অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবের ১৯.৫৩ বিলিয়ন ডলার থেকে আরও বাদ যাবে প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফ এর সদস্য হওয়ায় এসডিআর অ্যালোকেশন বাবদ বাদ যাবে ২ বিলিয়ন ডলার। দেশের ব্যাংকগুলোর এফসি ক্লিনিং অ্যাকাউন্টের ৯৩৭ মিলিয়ন, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (এসিইউ)-এর সদস্য দেশগুলো থেকে আমদানি বাবদ (এখন পর্যন্ত) ৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পেমেন্ট এবং এক বছরের মধ্যে আইএমএফের প্রোজেক্ট পেমেন্ট বাবদ ৩২৬ মিলিয়ন ডলার বাদ দিলে দেশের প্রকৃত ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়াবে ১৫.৮২ বিলিয়ন ডলারে।


উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে রিজার্ভ ছিল ৩ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে তা ১ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। ২০০১-০২ অর্থবছর পর্যন্ত রিজার্ভ ২ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা কম ছিল। ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে বৈশ্বিক মন্দা হলে রিজার্ভ ৭ বিলিয়ন থেকে কমে ৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। এরপর তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং কোভিডের কারণে আমদানি কমে প্রবাসী আয়ে বড় উত্থান হলে ২০২১ সালের আগস্টে মোট রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। তবে এরপরের বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ হলে জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকলে একাধারে কমছে থাকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ