গত দুদিনের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ৪ টাকা। দুদিন আগেও প্রতি কেজি আলু প্রকারভেদে ৩২-৩৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গতকাল তা ৩০-৩৪ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। বন্দর দিয়ে আমদানি অব্যাহত থাকায় দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বন্দরে আলু কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব আলী বলেন, ৩০ নভেম্বর আলু আমদানির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এ কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগে থেকেই আলুর দাম বাড়তে শুরু করে। প্রকারভেদে ২৭-৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া আলু বেড়ে ৩২-৩৮ টাকায় উঠে যায়। গত বৃহস্পতিবার কার্টিনাল জাতের লাল বর্ণের আলু দাম বেড়ে ৩৭-৩৮ টাকা কেজি দরে উঠে যায়। এছাড়া সাদা বর্ণের আলু ২৭ টাকা থেকে বেড়ে কেজিপ্রতি ৩২ টাকায় বিক্রি হতে শুরু করে। তবে আবারো আমদানির সময়সীমা বাড়ানোয় বন্দর দিয়ে শনিবার থেকে আলু আমদানি হচ্ছে। তাই দামও কমতে শুরু করেছে। সাদা বর্ণের আলু ৩০ টাকা ও কার্টিনাল জাতের আলু ৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দেশের বাজারে আলুর দাম অস্থিতিশীল হয়ে উঠলে গত ৩০ অক্টোবর আলু আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। ২ নভেম্বর থেকে হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আলু আনতে শুরু করেন আমদানিকারকরা। শুধু হিলি স্থলবন্দর দিয়েই ৪০ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পান কয়েকজন ব্যবসায়ী। এতে আলুর সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে আসে। তবে আমদানির মেয়াদ ছিল ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ফলে গত বৃহস্পতিবারই ছিল আলু আমদানির শেষ দিন। কিন্তু বাজার এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীল না হওয়ায় আমদানির মেয়াদ আরো কিছুদিন বাড়ানোর দাবি তোলেন ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আলু আমদানির সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেয়।
অর্থসংবাদ/এমআই