আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউর মেজবান হলে ভ্যাট দিবসের অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের হাতে স্মারক ও সনদ তুলে দেন এনবিআর সদস্য ড. এসএম হুমায়ুন কবীর।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমির মহাপরিচালক সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিল কমিশনার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, কর কমিশনার মো. শাহাদাৎ হোসেন সিকদার, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ-সভাপতি এএম মাহবুবুর রহমান, উইম্যান চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি আবিদা মোস্তফা।
সায়মন বিচ রিসোর্ট লিমিটেডের এমডি মাহবুব রহমান রুহেল, ভ্যাট সম্মাননা দেওয়ার জন্য এনবিআরকে ধন্যবাদ জানাই। তৃতীয়-চতুর্থবার পেয়েছি আমরা। হোটেল হচ্ছে সিজনাল বিজনেস। তাই বিষয়টি কনসিডারেশনে আনা উচিত। হোটেল ব্যবসার বাইরে আমাদের ২১টি হল আছে। দর্শকদের হলমুখী করছি।
ভ্যাটের ক্ষেত্রে অসম ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা হচ্ছে। অনেকে নিবন্ধিত নয়। সায়মন নিয়ে আমরা ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করেছি। ভ্যাট কাস্টমার দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠান সরকারের কোষাগারে জমা দেয়। অনেককে ভ্যাট নেটওয়ার্কে আনা হয়নি। সবাইকে আনতে হবে। ফাইভ স্টারে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। তাই আমাদের হোটেলে থাকছে বাইরে খাচ্ছে। ফরেন গেস্টদের কিছু আইটেম এক্সপেনসিভ। এগুলো থাইল্যান্ডের মতো সহনীয় করতে হবে। তাহলে পর্যটন খাতে প্রচুর ফরেন কারেন্সি আসবে দেশে।
তিনি বলেন, অটোমেশনের কারণে ভ্যাট দেওয়া সহজ হয়েছে। আরও সহজ করতে হবে। দেশে একশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন হচ্ছে। মীরসরাইয়ে আমরা বিনিয়োগ করছি। ফরেন ইনভেস্টমেন্ট আনতে ভ্যাট নিয়ে ভাবতে হবে।
প্রশ্নোত্তর পর্বে অঞ্জন শেখর দাশ বলেন, কক্সবাজারে হোটেলে খাবার খাওয়ার পর একটি হোটেলে ১৫ শতাংশ, আরেকটিতে ১০ শতাংশ ভ্যাট নিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে আলাদা হার কেন?
কাজল বড়ুয়া বলেন, বিভিন্ন কোম্পানির ভ্যাট প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ দিলে আইন সম্পর্কে জানতে পারব।
রিয়াজ উদ্দিন খান বলেন, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের অনেককে ৭ বছর পর ভ্যাট দিতে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। বিল না পেলে কেমনে পরিশোধ করবো? প্রিন্সিপাল থেকে কীভাবে নেব?
কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বলেন, ভ্যাট দিয়ে আমার কী লাভ- এর উত্তর দিতে ভ্যাট বিভাগ কোনো উদ্যোগ নেবে কি-না। পুরস্কার অটোমেটিক জানার কোনো কার্যক্রম নেওয়া হবে কি-না।
বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ভ্যাট কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান বলেন, সমন্বিত ভ্যাট ও ট্যাক্স সফটওয়্যারের বিষয়টি এনবিআর বিবেচনায় নিতে পারে।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বন্ড কমিশনার এ কে এম মাহবুবুর রহমান।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত চট্টগ্রামে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৬২৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আগের অর্থবছরের ওই সময় আদায় ছিল ৪ হাজার ৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। এবার বেশি আদায় হয়েছে ৬১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। চট্টগ্রামে ইএফডির সংখ্যা ২ হাজার ১২৭টি।