জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসেবে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে ৭ লাখ ২৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করে। ওই বছর আর কোনো দেশ বাংলাদেশের চেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করেনি।
ইউএন কমট্রেডের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশের পর সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা আমদানি করে ৬ লাখ ৬০ হাজার টন পেঁয়াজ। তৃতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া। তারা আমদানি করে ৫ লাখ টন।
পেঁয়াজ উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায়ও আছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসাবে, পেঁয়াজ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম, তবে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে দেশের চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না বলে দেশে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ছে। ফলে বাংলাদেশ বিশ্বতালিকায় পেঁয়াজ আমদানির শীর্ষে অবস্থান করছে ।
গত ৭ ডিসেম্বরে ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষিদ্ধ করে। এরপরথেকেই বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার রাতারাতি চড়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা এখন পেঁয়াজ আমদানির জন্য বিকল্প বাজারের খোঁজ করতে শুরু করেছে।
এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। তখন বাংলাদেশের বাজারে প্রথমবারের মত আমদানি করা হয় ডাচ পেঁয়াজ।
এবারে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর নেদারল্যান্ডসের রপ্তানিকারকরা সে সুযোগ নিশ্চই কাজে লাগাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, বিশ্বে এখন পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় বাজার বাংলাদেশ।
অর্থসংবাদ/এমআই
 
                         
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                 
                     
                 
                