আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে কালীগঞ্জে শিয়ালখোওয়া বাজারের পাইকারি পেঁয়াজের বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা।
এই একই বাজারে গত দুই দিন আগে প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ১৫০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২২০ টাকা দরে।
পেঁয়াজের দাম কমার কারণ জানতে চাইলে মো. জমসের আলী নামের এক বিক্রেতা জানান, বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। নতুন এই পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। এ ছাড়া পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ক্রেতারাও পেঁয়াজ কেনা কমিয়ে দিয়েছিলেন। পেঁয়াজ যেহেতু পচে যায়, বেশি দিন রাখা যায় না; সেটিও পেঁয়াজের দাম কমার একটি কারণ। পেঁয়াজের দাম কমায় ব্যবসায়ীদের লোকসান হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
পেঁয়াজের দাম কমায় স্বস্তি প্রকাশ করলেও সন্তুষ্ট নন ক্রেতারা। তারা জানান, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০-৪০ টাকা হলে ভালো হতো। বাজারে প্রতিটি জিনিসেরই দাম বেশি।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে। যখন ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল তখন কোনো লেবার খরচ বাড়েনি। তারপরও অতি মুনাফার লোভে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের আমরা মনিটরিং করছি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।