বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংককে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। তবে এই ব্যাংকগুলোর লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর এই পাঁচ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) ২০ কার্যদিবসের মধ্যে টাকার ঘাটতি মেটাতে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যেসব ব্যাংককে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- সেগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনার চলতি হিসাবের অর্থের পরিমাণ পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ঘাটতিতে আছে এবং এটি সাধারণ ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বিষয়টি নিয়ে আপনাকে বারবার সতর্ক করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থের ঘাটতি সমন্বয় করতে ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ব্যাংকগুলোকে সব ধরনের বা নির্দিষ্ট ক্লিয়ারিং প্লাটফর্মের লেনদেন থেকে নিষিদ্ধ করা হবে।