রপ্তানিকারকদের জন্য নগদ এ প্রণোদনার এক হাজার কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয় এ অর্থ ছাড় করেছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, দ্বিতীয় কিস্তিতে রপ্তানিমুখী দেশীয় টেক্সটাইল, হিমায়িত চিংড়ি এবং অন্যান্য মাছ, চামড়াজাত পণ্য এবং অন্যান্য অনুমোদিত খাতের রপ্তানির বিপরীতে নগদ প্রণোদনা এবং তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে ১ শতাংশ হারে বিশেষ নগদ প্রণোদনা ছাড় করা হয়েছে।
ডিসেম্বরের মধ্যেই রপ্তানিকারকদের জন্য প্রাপ্য বকেয়া ৪ হাজার কোটি টাকার নগদ প্রণোদনা ছাড়ে আজ অর্থ মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দেয় বাংলাদেশের নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন। তারপরেই এলো এ সিদ্ধান্ত।
গত মাসে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়, এই প্রেক্ষাপটে বিকেএমইএ চিঠিটি দিয়েছে।
চিঠিতে বিএকেএমইএ জানায়, বর্তমানে সর্বমোট চার হাজার কোটি টাকারও বেশি নগদ সহায়তা বাবদ বাংলাদেশ ব্যাংকে বকেয়া দাবি রয়েছে, যা এ খাতকে চরম আর্থিক সংকটে ফেলে দিয়েছে।
আনুষ্ঠানিক তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে পাটখাত ছাড়া অন্যান্য স্থানীয় রপ্তানিকারকদের জন্য ৭ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা নগদ সহায়তা বা প্রণোদনা বরাদ্দ রাখে সরকার।
এর আগে এপ্রিলেও রপ্তানিতে ভর্তুকির তহবিল থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড় করতে সরকারকে অনুরোধ করেন পোশাক রপ্তানিকারকরা। এসময় বলা হয়, ঈদুল ফিতরের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে কমপক্ষে দেড় হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।