বসুন্ধরা পেপার মিলসের ১১ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

বসুন্ধরা পেপার মিলসের ১১ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন
সমাপ্ত ২০২৩ হিসাববছরের জন্য ঘোষিত ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বসুন্ধরা পেপারস মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির ৩০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এই লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়।

কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সভায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের কোম্পানির পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী, নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব ও প্রতিবেদনগুলো অনুমোদন করা হয়। পাশাপাশি পরিচালকগণের পুনঃ নির্বাচনসহ ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের জন্য বিধিবদ্ধ নিরীক্ষকগণ নিয়োগ বিষয়ক আলোচ্য-সূচী সমূহ সর্বসম্মতিক্রমে আনুমোদিত হয়।

বসুন্ধরা পেপার মিলসের উর্ধ্বতন উপদেষ্টা ও বিকল্প পরিচালক এ আর রশীদির সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নিরপেক্ষ পরিচালক খাজা আহমেদুর রহমান, পরিচালক মো. ইমরুল হাসান, মো. নাজমুল আলম ভূঁইয়া, মোস্তফা আজাদ মহিউদ্দিন।

এছাড়া সভায় যুক্ত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান (এফসিএ), চীফ অপারেটিং অফিসার মির্জা মুজাহিদুল ইসলাম, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসানসহ কম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিধিবদ্ধ নিরীক্ষকগণ। সাধারণ সভাটি সঞ্চালনা করেন কোম্পানি সচিব এম. মাজেদুল ইসলাম। এ সময় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডাররাও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি এ আর রশীদ বলেন, বর্তমানে কাগজ ও কাগজজাত পণ্যের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৮ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন। বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড এ দেশের কাগজ ও কাগজজাত পণ্য নির্ভর খাতের প্রায় ৩০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যেও ধরে রেখেছে। একই সঙ্গে দেশে বর্তমান টিস্যু পণ্যের বাৎসরিক চাহিদা প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন, এ ক্ষেত্রে বসুন্ধরা পেপার মিলের অবদান মোট চাহিদার প্রায় ৭৫ শতাংশ।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিও আলোচ্য বছরে কিছুটা ঝুঁকির সম্মুক্ষীণ হয়েছে। যার বিরুপ প্রভাব দেশের অন্যান্য শিল্পের মত কাগজশিল্পেও পড়েছে। কাগজ শিল্পের চূড়ান্ত চাহিদার মৌসুমে মুদ্রাস্ফীতি, ব্যাপক হারে ডলার সংকট, কাঁচামালের অপ্রতুলতা, আর্ন্তজাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে আমাদের কোম্পানির কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দক্ষ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবসায়িক কৌশল পরিবর্তন ও অক্লান্ত পরিশ্রম করে অত্র কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ ব্যাপক ক্ষতি রোধ করে, সুরক্ষিত করতে সক্ষম হয়েছে আপনাদের বিনিয়োগ।
আলোচ্য বছরে উৎপাদনের পরিমান কিছুটা হ্রাস পেলেও বিগত বছরের তুলনায় মোট আয় ১৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কর-পরবর্তী নীট মুনাফা এ বছর ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৪৫ দশমিক ৫০ কোটি টাকা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ আর রশীদ আরও বলেন, বিশ্বজুড়ে সৃষ্ট অর্থনেতিক সংকটের মধ্যেও কোম্পানিটি ১০১২ দশমিক ১২ মেট্রিক টন পণ্য রপ্তানি করেছে। এই রপ্তানি আয় আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আলোচ্য বছরে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অত্র কম্পানি প্রায় এক কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় করেছে।

কোম্পানির এই উপদেষ্টা ও বিকল্প পরিচালক বলেন, শেয়ারবাজারে নিবন্ধিত হওয়ার পর অর্থাৎ বিগত ছয় বছরে চার হাজার ৪৪৫ জন কর্মী বাহিনীর সমন্বয়ে পরিচালিত এই কোম্পানি আলোচ্য বছরের ১৫৬ দশমিক ৬৬ কোটি টাকাসহ আয়কর, আবগারী শুল্ক, সমপূরক শুল্ক, নিয়ন্ত্রক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর বাবদ মোট ৬০১ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে পরিশোধ করে সরকারের মিলিনিয়াম ডেভলাপমেন্ট গোল-২০৪১ বাস্তবায়নের অংশীদার হওয়ার মর্যাদা লাভ করেছে।

এমআই

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত