প্লট বরাদ্দ প্রক্রিয়া, প্লট পেতে শর্ত ও যোগ্যতা, প্লটের মূল্য পরিশোধ পদ্ধতি, শিল্প পার্কে কারখানা স্থাপন, প্লট বরাদ্দ বাতিল, বরাদ্দ বাতিল হওয়া প্লট পুনরায় পেতে আপিল পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে নীতিমালায়। বিসিক শিল্পনগরে কোন খাতের শিল্প স্থাপন করা যাবে, কতদিনের মধ্যে স্থাপন করতে হবে, কারখানায় ফ্লো বা স্পেস ভাড়া কীভাবে হবে সেসব বিষয়েও দিকনির্দেশনা রয়েছে। প্লট বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৯৯ বছরের জন্য।
বিসিক শিল্পনগরী বা শিল্প পার্কে প্লট বরাদ্দ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্লট বরাদ্দ দেওয়ার আগে আবেদনকারীর কারিগরি সক্ষমতা, শিল্পায়নে অভিজ্ঞতা, আর্থিক সচ্ছলতা, প্রস্তাবিত প্রকল্প, স্থানীয় কাঁচামাল ও চাহিদার প্রাপ্যতা যাচাই করে মূল্যায়ন করতে হবে। আবেদনপত্র বাছাই করতে সভাপতি, সদস্য সচিব ও তিনজন সদস্য নিয়ে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করতে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলায়, বিশেষায়িত এবং পার্বত্য এলাকায় প্লট বরাদ্দ, ব্যবস্থাপনা কমিটি ও কার্যপরিধি সংক্রান্ত আলাদা কমিটি থাকতে হবে।
২০২৩ সালের এই নীতিমালা জারির পর গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ইতোপূর্বে জারি করা ‘বিসিক শিল্পনগরীতে প্লট বরাদ্দ নীতিমালা-২০১০’, চামড়া শিল্পনগরীর ‘ভূমি বরাদ্দ নীতিমালা’, ‘এপিআই শিল্প পার্কের প্লট বরাদ্দ নীতিমালা’, ‘বিসিক জামদানি শিল্পনগরী, তারাব, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জের প্লট বরাদ্দ নীতিমালা-২০১৬, বিসিক শিল্পনগরী মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহের প্লট বরাদ্দের নীতিমালাসহ প্লট বরাদ্দের সব নীতিমালা বাতিল হয়ে যাবে। কোনো নীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা দেখা দিলে বা কোনো ব্যাখ্যা আবশ্যক হলে ওই সমস্যা দূরীকরণ বা ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে এ নীতিমালার সংশ্লিষ্ট নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিসিক বোর্ডের দেওয়া ব্যাখ্যা চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
কোনো ইজারা গ্রহীতা এ নীতিমালা অনুসরণে ব্যর্থ হলে বিসিক সংশ্লিষ্ট শিল্প প্লটের বরাদ্দ বাতিল করে তা দখল করার আগে পুনরায় বরাদ্দ দিতে পারবে। এ ছাড়া ইজারা গ্রহীতা চুক্তি ভঙ্গ করলে উপযুক্ত আদালতে বিসিক মামলা করতে পারবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই