এআই নিয়ে ঠিক যে ভয়টা তৈরি হয়েছিল, সেটাই ধীরে ধীরে যেন সত্যি হচ্ছে। এআই ক্রমশ জায়গা দখল করছে মানুষের। যার সাম্প্রতিক উদাহরণ জনপ্রিয় অনলাইন পেমেন্ট সংস্থা পেটিএমের কর্মী ছাঁটাই। বড়দিনে নিজেদের হাজারেরও বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করেছে তারা। কারণ জানতে চাইলে বলা হয়েছে, বার বার একই কাজ করার যে সমস্ত চাকরি, সেগুলিকেই এআই প্রযুক্তি দিয়ে বদলে দিয়েছে তারা। ফলে কর্মহীন হয়েছেন হাজার হাজার কর্মী।
গত অক্টোবর থেকেই এই ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল পেটিএমের মূল সংস্থা ওয়ান ৯৭ কমিউনিকেশন লিমিটেড। তারা সম্প্রতি পেটিএম-সহ বিভিন্ন বিভাগ থেকে হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে বড়দিনের সপ্তাহেই।
এ ব্যাপারে পেটিএম-এর মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ইন্ডিয়া টুডে-কে বলেন, সংস্থাকে আরও কর্মক্ষম বানাতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই একটি সিদ্ধান্তে আমাদের সংস্থার যেমন উন্নতি হবে, তেমনই খরচও কমবে। তাই সব ভেবেচিন্তেই আমরা নিজেদের কর্মীসংখ্যা সামান্য কমিয়েছি।
আরও পড়ুন: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পরিধি বাড়াতে অ্যামাজনের কর্মী ছাঁটাই
কৃত্রিম মেধা প্রযুক্তিগত ভাবে যত উন্নত হচ্ছে, ‘মেশিন লার্নিং’ কিংবা ‘লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল’ যত উন্নত হচ্ছে, ততই তার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
একই সঙ্গে এই প্রযুক্তির খারাপ দিকগুলিও ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে। এর আগে এআই প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে ‘ডিপ ফেক’-এর খারাপ দিকগুলি প্রকাশ্যে এসেছে।
এক জনের শরীরে আর এক জনের মুখ নিখুঁত বসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় বিপন্ন বোধ করছিলেন অনেকেই। এ বার দেখা গেল কর্মীছাঁটাই।
পেটিএমের ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, এআইয়ের কাজে তারা মুগ্ধ। শুধু তা-ই নয়, এই সিদ্ধান্তের জন্য এক লপ্তে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কর্মীদের খরচও কমাতে পারবে সংস্থাটি।
তবে পেটিএম জানিয়েছে, তারা অচিরেই ১৫ হাজার কর্মী নিয়োগও করবে তাদের সংস্থায়।
এমআই