বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন।
রাজ্জাকের পক্ষে জামিন শুনানি করেন শেখ বাহারুল ইসলামসহ কয়েকজন আইনজীবী।
দুদকের পক্ষে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে দুদকের একটি টিম রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করে। ওইদিনই আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ওইদিনই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মো. নূরুল হুদা কেন্দ্রীয় ঔষুধাগারের (সিএমএসডি) ৬ কর্মকর্তা ও আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে নূরুল হুদা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় সিএমএসডি’র যে ৬ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- উপপরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (স্টোরেজ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন) ডা. শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার (বর্তমানে মেডিক্যাল অফিসার, জামালপুর) সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার (পিআরএলে থাকা) কবির আহমেদ এবং সিনিয়র স্টোর কিপার ইউসুফ ফকির।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অথবা সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তার-নার্স এবং অন্যান্যদের সুরক্ষায় এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের জন্য জেএমআই গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জেএমআই গ্রুপ এন-৯৫ মাস্কের নামে ২০ হাজার ৬১০টি মাস্ক সরবরাহ করে। পরে দেখা যায় ওই মাস্কগুলো প্রকৃতপক্ষে এন-৯৫ মাস্ক নয়। সেগুলো ১০টি প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়।
গত ১০ জুন থেকে দুদক কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ঔষুধাগারের (সিএমএসডি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে।