বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনের অডিটোরিয়ামে ‘হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভে (এইচআইইএস) ২০২২’-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. মো. কাউছার আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ এমপিএইচ।
প্রকল্প পরিচালক জানান, ২০২২ সালে উচ্চ দারিদ্র্য রেখা ব্যবহার করে হেডকাউন্ট রেট জাতীয় পর্যায়ে হয়েছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ, পল্লি এলাকায় ২০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৬ সালে জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ওই সময় এ হার পল্লি এলাকায় ছিল ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ।
ফলে ২০১৬ সালের তুলনায় ২০২২ সালে জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্যের হার কমেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
সর্বোচ্চ দারিদ্র্যের বৃত্তে বরিশাল বিভাগ
উচ্চ ও নিম্ন দারিদ্র্যের বৃত্তে ঢুকে পড়েছে বরিশাল বিভাগ। ২০২২ সালে বরিশাল বিভাগে উচ্চ দারিদ্র্য রেখা অনুযায়ী দারিদ্র্য হার ২৬ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
বিবিএসের প্রতিবেদনে জানা যায়, উচ্চ ও নিম্ন উভয় দারিদ্র্য রেখার মাধ্যমে প্রাপ্ত হিসাব অনুযায়ী ২০২২ সালে বরিশাল বিভাগে দারিদ্র্যের হার বিভাগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২২ সালে বরিশালে উচ্চ দারিদ্র্য রেখা অনুযায়ী দারিদ্র্য হার ২৬ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নিম্ন দারিদ্র্য রেখা অনুযায়ী দারিদ্র্যের হার ১১ দশমিক ৮ শতাংশ।
অন্যদিকে, বিভাগগুলোর মধ্যে উচ্চ দারিদ্র্য রেখা অনুযায়ী খুলনায় দারিদ্র্যের হার ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ঢাকায় নিম্ন দারিদ্র্য রেখা অনুযায়ী অতি দারিদ্র্যের হার ২ দশমিক ৮ শতাংশ।
এমআই