মাঠ পর্যায়ের দপ্তরগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড ও ওটিপি ব্যবহার করে কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও সফটওয়্যারে প্রবেশের ক্ষেত্রে নির্দেশনা মানতে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে, এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করেছেন ইসির সিস্টেম অ্যানালিস্ট (তথ্য ব্যবস্থাপনা) প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম।
সেখানে বলা হয়েছে, নতুন ভোটার নিবন্ধনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সরাসরি সফটওয়্যারে কাজ করে থাকেন। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের সঙ্গে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কার্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও বায়ো এনরোল সফটওয়্যারসহ সফটওয়্যারে প্রয়োজনানুসারে প্রত্যেকের আলাদা ইউজার আইডি রয়েছে, যেখানে প্রয়োজন অনুযায়ী প্রিভিলেজ দেওয়া আছে। ইউজার আইডি দিয়ে লগ-ইন করে প্রত্যেকে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারে পালন করে থাকেন। ওই সফটওয়্যারগুলোতে লগ-ইন করার জন্য ইউজার আইডি, পাসওয়ার্ড ও ওটিপি ব্যবহার করতে হয়।
সব ইউজার আইডির কার্যক্রমের লগ কেন্দ্রীয়ভাবে ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে। সফটওয়্যারগুলোতে প্রত্যেক ইউজার আইডি ব্যবহার করে সম্পন্ন সব কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় থাকবেন। ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, মাঠ পর্যায়ের কিছু কিছু কর্মকর্তা তার ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড ওপিটি তার দপ্তরের কর্মচারীদের সঙ্গে শেয়ার করছেন, যার ফলে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগ-ইন করতে পারলে সংশোধনের আবেদন অনুমোদন এবং আপলোডার সার্ভার লগ-ইন করতে পারলে নতুন ভোটারের ডাটা কেন্দ্রীয় সার্ভারে আপলোড করা সম্ভব, যার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৮ অনুসারে সফটওয়্যারে বেআইনিভাবে প্রবেশ এবং আইনগত কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে অপর কোনো ব্যক্তির পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ, পরিবর্তন, ব্যবহার ও সরবরাহ দণ্ডনীয় অপরাধ।