মুদ্রাবাজারে প্রধান ছয়টি মুদ্রার বিনিময় হার সূচকে ডলারের সূচক মান নেমে এসেছে ১০১ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে, যা গত ২৮ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন।
এসইবির প্রধান অর্থনীতিবিদ জেনস ম্যাগনুসন বলেন, সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে মুদ্রা লেনদেনের বাজার স্থিতিশীল থাকবে। আমাদের শেয়ারবাজার এখনো শক্তিশালী। ভূরাজনৈতিকভাবে যদি কোনো সংকট তৈরি না হয় তাহলে আগামী বছরও এটি একই পর্যায়ে থাকবে বলে আমি আশাবাদী।
টানা দ্বিতীয় মাসের মতো ডলারের বিনিময় হার নিম্নমুখী। আগামী বছর ফেড সুদহার কমাবে এমন প্রত্যাশায় ডলারের বিনিময় হার আরো নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সিএমই ফেডওয়াচের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চ থেকে সুদহার কমার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যানুযায়ী, মূল্যস্ফীতির চাপ কমায় আগামী বছর সুদহার কমানোর বিষয়ে বাজারসংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে ১ ইউরোর বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার বেড়ে ১ ডলার ১০ সেন্টে পৌঁছেছে, যা চার মাসের বেশি সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী। এছাড়া ডলারের বিপরীতে জাপানি ইয়েনের বিনিময় হার দশমিক ১ শতাংশ কমে ১৪৫ দশমিক ৫৫ ইয়েনে পৌঁছেছে।
যদিও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় এশিয়ার মুদ্রাটি শক্তিশালী অবস্থায় এসেছে। এর মাধ্যমে বাজারসংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা ছিল ব্যাংক অব জাপান হয়তো তাদের অতি শিথিল মুদ্রা নীতি থেকে বেরিয়ে আসবে।
ব্যাংকটির গভর্নর কাজুও উয়েদা সম্প্রতি জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে অতি শিথিল মুদ্রা নীতি কার্যকর করেছে, সেখান থেকে সহসাই বেরিয়ে আসবে না। গত সপ্তাহে ডলারের বিনিময় হার চার মাসের সর্বনিম্নে নেমে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি তথ্য প্রকাশের আগে এ দরপতন ঘটে মুদ্রাটির। বাজার বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস, যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। এর অর্থ হচ্ছে, আগামী বছর সুদহার কমিয়ে আনতে পারে ফেড।
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি কতটা মন্থর, সে সম্পর্কে ধারণা পেতে সবার নজর এখন মার্কিন ব্যক্তিগত ভোগ ব্যয় (পিসিই) সূচকের দিকে। মূল্যস্ফীতি পরিমাপে পিসিইকে গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করে ফেড। পেপারস্টোনের গবেষণা প্রধান ক্রিস ওয়েস্টন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি এখন একতরফা মনে হচ্ছে। প্রয়োজন দেখা দিলে ফেড সুদহার কমিয়ে আনবে। ফেড কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের কাজ শেষ হয়নি। ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের শেষ ধাক্কাটাই সবচেয়ে কঠিন পর্ব। পিসিই যখন ৩ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমতে শুরু করবে, তখন সুদহার কমানো হতে পারে।’