উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় আজ শনিবার এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে আলোচনা করে। অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় এই সভা। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা যুক্ত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ বলেন, প্রথমত নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে সমন্বিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে অনলাইনে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে আলাদা গুচ্ছ করে এই ভর্তি পরীক্ষা হবে। এ জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের নেতৃত্বে তৈরি করা একটি সফটওয়্যার আজকের বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। সেটির প্রশংসা করেছেন অন্যান্য উপাচার্যরা। আশা করা হচ্ছে, এটি ব্যবহার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছোট খাট পরীক্ষা নেওয়া হবে। এরপর সেটি ব্যবহার করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যাবে। এর আগে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে।
আর ভর্তি পরীক্ষাটি হবে বহুনির্বাচনী প্রশ্নের (এমসিকিউ) ভিত্তিতে।
গত বৃহস্পতিবার উপাচার্যদের সঙ্গে ইউজিসির এক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কীভাবে হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব করা হলেও সেদিন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও উপাচার্যরা। সেদিনই বলা হয়েছিল এ বিষয়ে উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত হবে। এখন এই সভার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে ইউজিসি।