আর ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুধু ওয়ালটন নয়, পরবর্তী অন্য কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধেও নেয়া হচ্ছে একই ব্যবস্থা। বুধবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়: বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে কোনো কোম্পানির বিডিংয়ে ৬০ ঊর্ধ্বে যেসব কোম্পানির দর প্রস্তাব করেছে, ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জারি করা বিএসইসির সার্কুলার অনুসারে হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে ব্যাখ্যা তলব করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজসহ পরবর্তী অন্য সব কোম্পানিতে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা যে দাম প্রস্তাব করেছে, তাদের ব্যাখ্যা তলব করা হবে।
ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানা যায়, শেয়ারবাজারে ওয়ালটনের শেয়ারমূল্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি সাধারণ শেয়ার প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে ইস্যু করেছে ওয়ালটন। এরমধ্যে ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৭টি সাধারণ শেয়ার যোগ্য বিনিয়োগকারীরা কিনছেন। যোগ্য বিনিয়োগকারীদের বিডিংয়ে তাদের প্রস্তাব করা দামে শেয়ার কিনতে হয়েছে।
বাকি ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬টি সাধারণ শেয়ার ২৫২ টাকা মূল্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীর (অনিবাসী বাংলাদেশিসহ) কাছে ইস্যু করা হয়েছে। তবে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কেউ কেউ কোম্পানির ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ার বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে ৭৬৫ টাকা পর্যন্ত দাম প্রস্তাব করে। এতে কোম্পানির শেয়ারের কার্ট অব প্রাইস বেড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে শেয়ারবাজারে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ-কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়ানোর জন্য এ কাজ করেছে একটি পক্ষ। এরপরই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়।
পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য ৭ জানুয়ারি বিএসইসি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে বিডিংয়ে অংশ নেয়ার অনুমোদন দেয়। এ অনুমোদনের ফলে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণে ২-৫ মার্চ পর্যন্ত যোগ্য বিনিয়োগকারীরা বিডিংয়ে অংশ নেন। এ সময়ের মধ্যে বিডিংয়ে অংশ নেন ২৩৩ জন।