নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের (ভ্যাট) মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মি. বেকারের টঙ্গী ও গাজীপুরের হেড অফিসে (কারখানা) অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা। এতে গোয়েন্দা দল ব্যাপক ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পায়। অধিকতর তদন্তের জন্য প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেনের হিসাব তলব করা হয়েছে।
রাজধানীতে প্রতিষ্ঠানটির পেস্ট্রি শপের ২৯টি ও সুইটমিটের ৫টি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এই হেড অফিসের ঠিকানায় তাদের কারখানাও অবস্থিত।
বৃহস্পতিবার ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর থেকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে টঙ্গীর ঢাকা ব্যাংক, কামারপারা শাখা ও সাউথইস্ট ব্যাংকে নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) ভ্যাট গোয়েন্দার দুটি পৃথক দল ঢাকার তুরাগ ধোউড়ের আলী সরকার রোডের ‘মি. বেকার কেক অ্যান্ড পেস্ট্রি শপ’ এবং গাজীপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত ‘মি. বেকার সুইটস’- এই দুটি প্রতিষ্ঠানের হেড অফিস ও কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে।
পেস্ট্রি শপের ভ্যাট নিবন্ধন নং- ০০০৯৬৪৬৮২ -০১০২। অন্যটির ভ্যাট নিবন্ধন নং- ০০১১৪৬১৭৭-০১০৩। প্রতিষ্ঠান দুটি ঢাকা উত্তর ভ্যাট কমিশনারেটে কেন্দ্রীয়ভাবে নিবন্ধিত।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপ-পরিচালক নাজমুন নাহার কায়সার, ফেরদৌসি মাহবুব ও তানভীর আহমেদ।
এর আগে, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আসিফ জামান গত ১৮ অক্টোবর তার নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোডে অবস্থিত ‘মি বেকার’-এর বিক্রয়কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ভ্যাট চালান না দেয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেন।