প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্য হিসেবে দেশের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে সর্বপ্রথম দরকার হচ্ছে পেশাদারিত্ব এবং প্রশিক্ষণ। আর এই পেশাদারিত্বের কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনের জন্য আপনাদের সকলকে পেশাগতভাবে দক্ষ, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সৎ এবং মঙ্গলময় জীবনের অধিকারী হতে হবে।
সরকার প্রধান বলেন, আমরা বৈরিতা চাই না, যুদ্ধ চাই না। কারণ যুদ্ধের যে ভয়াবহ রূপ, তা আমার নিজের দেখা আছে। কাজেই আমরা আর সে ধরনের সংঘাতে জড়িত হতে চাই না। পবিত্র সংবিধান ও দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক-যেকোনো হুমকি মোকাবিলার জন্য সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা তৈরি থাকতে চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত স্পষ্ট-সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারোর সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা কারোর সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না, আমরা সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়েই আমরা বাংলাদেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নত করতে চাই।
সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের উন্নয়নে ও করোনাকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে সেনাবাহিনী দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। শীতকালে কারোনা আবার বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।