বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) শিল্প মন্ত্রণালয়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সঙ্গে বৈঠককালে এ আগ্রহের কথা জানান ভারতীয় হাইকমিশনার।
এ সময় অতিরিক্ত শিল্পসচিব বেগম পরাগসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদার, ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি বৃদ্ধি, স্থলবন্দর কেন্দ্রিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, রফতানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যার সহজ সমাধান, পণ্যের মান সনদের পারস্পরিক স্বীকৃতিসহ অন্যান্য বিষয় আলোচনায় স্থান পায়।
বৈঠকে ভারতীয় হাইকমিশনার বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।
ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বৃহত্তর অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী জানিয়ে তিনি বলেন, বিদেশি পণ্য ভারতের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে সে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কিছু অ্যাক্রেডিটেড ল্যাবরেটরির মান সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক। এ সনদ গ্রহণ করে বাংলাদেশের ফুড ও ননফুড আইটেম সহজেই ভারতের বাজারে রফতানি করা যেতে পারে।
তিনি এজন্য বিএসটিআইয়ের সঙ্গে ভারতের সংশ্লিষ্ট মান প্রতিষ্ঠানগুলোর লিংকেজ শক্তিশালী করার পরামর্শ দেন।
একই সঙ্গে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পণ্যের গুণগতমান পরীক্ষণের জন্য মোবাইল টেস্টিং ল্যাবরেটরি সেবা চালুতে ভারত সহায়তা করবে বলে তিনি জানান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও ব্যবসা বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর হতে পারে। বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য পরিধি বাড়াতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। বাণিজ্যের পরিধি বাড়লে রফতানি সম্পর্কিত বিদ্যমান সমস্যাগুলো সহজেই সমাধান হবে। বাংলাদেশের উদীয়মান শিল্পখাতগুলোর বিকাশে ভারতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।
তিনি বাংলাদেশের অটোমোবাইল, হালকা প্রকৌশল, কৃষি যন্ত্রপাতি ও এপিআই শিল্পখাতের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে ভারতীয় হাইকমিশনারের আগ্রহকে অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন। এজন্য তিনি উভয় দেশের বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সংলাপ ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে সহায়তার ক্ষেত্র চিহ্নিত করার পরামর্শ দেন।