সকাল থেকেই ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে জড়ো হতে থাকেন মাইজভাণ্ডারীর অনুসারীরা। দিনটি পালন করতে সারাদেশ থেকে আসেন অনুসারীরা। জশনে জুলুসে অংশগ্রহণকারীদের হাতে কলেমা তৈয়াবা, জাতীয় পতাকা, আঞ্জুমানের পতাকা এবং নানা ধরনের বাণী ও শ্লোগান লিখিত ব্যানার ও ফেস্টুন ছিলো। মাইজভাণ্ডারীর অনুসারীদের নারায়ে তাকবির, নারায়ে রেসালাত ও গাউসিয়তের ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় চারপাশ।
মাইজভান্ডার দরবার শরীফের ইমাম শাহ্সূফি মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন্ আহমদ আল্-হাসানীর নেতৃত্বে শোভাযাত্রা পর মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। সেই ইসলাম ধর্ম প্রচারে, মানব জাতির কল্যাণে আল্লাহ রাসুলকে (সা.) তার দূত হিসেবে আমাদের মধ্যে পাঠান। আমাদের সবার কাছে রাসুলের জীবন শিক্ষণীয়।
তিনি বলেন, মহানবী অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করতেন এবং তার অনুসারীদেরও অন্য ধর্ম বা ধর্মাবলম্বীদের অবমাননা করতে মানা করেছেন। কেননা কোন ধর্মের অনুসারিরাই তাদের ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অবমাননা মেনে নিতে পারেন না।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেন, পৃথিবী থেকে অন্ধকার অনাচার ব্যভিচারসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ দূর করতে আলোর মশাল নিয়ে শুভাগমন করেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি পৃথিবীতে মানবিক সমাজ গড়ে তোলার জন্য কাজ করেছেন এবং সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন। পৃথিবীতে তার শুভাগমন মানবজাতির জন্য আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত।
এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আলোচক হযরত মাওলানা বাকী বিল্লাহ্ আল-আযহারী, হযরত মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, আঞ্জুমান সাধারণ সম্পাদক খলিফা মো. আলমগীর খাঁন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ব মানবতার কল্যাণ, করোনা থেকে মুক্তি, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সমৃদ্ধি এবং দেশবাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।