নিউজিল্যান্ডে স্বেচ্ছামৃত্যুর আইনটি বিল আকারে উপস্থাপন করা হয় গত বছর। ‘এন্ড অব লাইভ চয়েস অ্যাক্ট ২০১৯’ শীর্ষক বিল নিয়ে গণভোটের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, পক্ষে ভোট পড়েছে ৬৫ দশমিক ২ শতাংশ। ফলে শিগগিরই এটি আইনে পরিণত হতে যাচ্ছে।
বিলটি আইনে পরিণত হলে নিউজিল্যান্ডে দীর্ঘস্থায়ী ও গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তি যাদের বড় জোর ছয় মাস বাঁচার সম্ভাবনা রয়েছে তারা স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নিতে পারবেন। তবে তাতে অবশ্যই চিকিৎসকদের অনুমোদন লাগবে।
এই আইনের বিরোধীরা বলছেন, বর্তমান আইনটির যথেষ্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
আজ শুক্রবার গণভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে অবশ্য ৪ লাখ ৮০ হাজার বিশেষ ভোটও রয়েছে যারা বিদেশে থেকে বা অন্যভাবে ভোট দিয়েছেন, তারা এখনো গণনায় আসেননি। ফলে ৬ নভেম্বর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগেই আইনটির ভাগ্য নিশ্চিত নয়। যদিও দীর্ঘদিন ধরে আইনটির পক্ষে নাগরিকদের যে হারে সমর্থন দেখা যাচ্ছে তাতে ফলাফল উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
এটি আইনে পরিণত হলে তা ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আর এটি হলে নিউজিল্যান্ড হাতেগোনা কয়েকটি দেশের কাতারে উঠে যাবে যারা গণভোটের মাধ্যমে স্বেচ্ছামৃত্যুকে বৈধতা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নেদারল্যান্ডস এবং কানাডা।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনের সময় কয়েকটি বিষয়ে গণভোটও নেয়া হয়। এর মধ্যে স্বেচ্ছামৃত্যু এবং বিনোদনের উদ্দেশ্যে গাঁজা সেবন বৈধ করা অন্যতম। স্বেচ্ছামৃত্যুর সমর্থন মিললেও গাঁজার বিষয়টি সামান্য ব্যবধানে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। আর এ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন জেসিন্ডা আরডার্নের দল।
সূত্র: বিবিসি