সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রাজধানীর মূল সড়কসহ প্রায় প্রতিটি অলিগলিতে চেকপোস্ট স্থাপনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পেট্রোলিং করছেন। একদিন আগেই এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান-র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেছেন, ‘নগরবাসী যাতে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভোট দিতে পারেন সেজন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা রাত-দিন ২৪ ঘণ্টাই মনিটরিংয়ে রাখবো। যেসব নির্বাচনি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি রয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপকর্মের দুঃসাহস কেউ দেখাবেন না। আমরা এটা প্রত্যাশা করি না। যদি করেন, তবে অবশ্যই ইলেক্টোরাল ল’ এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ঘিরে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। একমাস ধরে ঢাকায় নিরবচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনি প্রচারণা চলছে। একটি-দুটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোনও নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়নি। আমরা প্রত্যাশা করছি, যেসব রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তাদের প্রার্থীরা যদি সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখেন, তাহলে আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে কথা দিতে পারি, প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি প্রস্তুত।’
ডিএমপির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন উপলক্ষে এক হাজার ২৮২টি ভেন্যুতে মোট দুই হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। পুরো শহরের পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রগুলোকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কেউ যাতে আগেই ভোটকেন্দ্র দখল বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে উপ-পরিদর্শকের নেতৃত্বে চার-পাঁচ জন কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করবেন। পরিদর্শক থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পেট্রোল ডিউটির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য কাজ করবেন। ঢাকায় ডিএমপির পক্ষ থেকে বিশ হাজারেরও অধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ১০ হাজার ২৩৮ জন পুলিশ রাখা হয়েছে। কোথাও কোনও ঝামেলা হলেই স্ট্রাইকিং ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনবে।