আজ সোমবার (০২ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় পরিদর্শন করেন বিএসইসিরে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় চার কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। এটি নতুন কমিশন দায়িত্বগ্রহণের পর প্রথম পরিদর্শন।
প্রতিনিধি দল রাজধানীর নিকুঞ্জে অবস্থিত নতুন এই ভবনটি ঘুরে দেখেন। মিডওয়ে সিকিউরিটিজসহ বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজের খোঁজ খবর নেন কমিশনের চেয়ারম্যান। এছাড়াও ডিএসইর আইটি বিভাগকে শক্তিশালী করার তাগাদা দেন।
এরপর প্রতিনিধি দল ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে। বেলা ৩টায় সফর শেষ করে কমিশনের উদ্দেশ্যে ডিএসই ত্যাগ করেন তারা।
ডিএসই সফরের বিষয়ে গত শনিবার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ) যৌথভাবে আয়োজিত ওয়েবিনারের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ডিএসইকে ডিজিটাল করা হবে। এই লক্ষ্যে আগামী সোমবার পরিদর্শন করা হবে।
একই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, ডিএসইর সামনেই উৎপাদনহীন ও কারখানা বন্ধ থাকা কোম্পানির শেয়ারে কারসাজি হচ্ছে। কিন্তু ডিএসই কিছুই করছে না।
তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে যদি কোন দুই নম্বারি হয়ে থাকে, সেটা পুরো পৃথিবীতেই সবার আগে স্টক এক্সচেঞ্জ ধরে। বিএসইসিতো অনেক পরের বিষয়, প্রথমেই ধরবে স্টক এক্সচেঞ্জ। তাদের ওখানেইতো প্রতিদিন লেনদেন হয়। যেকোন ধরনের অনিয়মের লেনদেন দেখলে বুঝতে পারা যায়। কিন্তু এখনো আমাদের পুঁজিবাজারে যে কোম্পানি বন্ধ এবং সবাই সেটা জানি, তারপরেও সেই কোম্পানির দর বাড়ে। কারা এসব কোম্পানির শেয়ার কিনে এবং কারা বিক্রি করে, তা স্টক এক্সচেঞ্জ জানে। এখানে যে ম্যানিপুলেশন হচ্ছে এবং ওপেনলি হচ্ছে, লুকিয়ে কেউ করছে না। কিন্তু বাজার পড়ে গিয়ে কোন কিছু হলেই রাস্তায় লোকজন নেমে সরকারকে দোষারোপ করে।’
সালমান এফ রহমান বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের খুবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। পুঁজিবাজারের দায়িত্ব শুধু সরকার, অর্থমন্ত্রণালয় ও বিএসইসির, আর স্টক এক্সচেঞ্জ শুধু বসে থাকবেন, তা না। তাদেরকে শক্তিশালী হতে হবে।