স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক তদন্তে বের হয়ে আসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তিন ধরনের যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় ৬ কোটি ৪০ লাখ ৩১ হাজার ৮০০ টাকার আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া দাম অনুসরণ না করে ও বাজারদর যাচাই না করে বেশি দামে এসব মেডিকেল যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে।
উত্তম কুমার বড়ুয়া আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপের যুগ্ম মহাসচিব।
অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ঔষধ প্রশাসন অনুবিভাগের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্ব তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ বছরের ১২ জানুয়ারি তৎকালীন সচিবের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার প্রায় ৯ মাস পর পরিচালককে ওএসডি করা হলো।
তদন্ত কমিটি জানায়, এর আগে উত্তম কুমারের বিরুদ্ধে এমআর মেশিন কেনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছে, আর্থিক অনিয়ম প্রকাশের পর সাজা পাওয়া একজন কর্মকর্তাকে দেশের স্বনামধন্য একটি হাসপাতালের পরিচালকের পদে বহাল রাখা ঠিক কি না, তা বিবেচনার দাবি রাখে। এ ছাড়া তাঁকে এ ধরনের ক্রয়সংক্রান্ত কার্যক্রম করার সুযোগ দেওয়াও ঠিক হয়নি।
অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘আমার হাতে এখনো এমন কোনো চিঠি আসেনি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে, তা সত্য নয়। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, আমি যা করেছি, তা সরকারি ক্রয় বিধিমালা মেনে করেছি। এসব কেনাকাটার বিষয়েই মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন ও মৌখিক নির্দেশ ছিল।’
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে মোট আটটি ওটি লাইট ৬ কেটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকায় কেনা হয়েছে। প্রতিটি লাইটের দাম পড়েছে ৭৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা করে, যা বাজারমূল্যের চেয়ে ২৫৬ শতাংশ বেশি। এতে সরকারের ৪ কোটি ৫৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।