শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে চীন থেকে ৩১৪ জন বাংলাদেশিকে বহনকারী বিশেষ বিমানটি ঢাকায় পৌঁছেছে। ঢাকায় পৌঁছানোর পর তাদের আশকোনার হজ ক্যাম্পে নেয়া হয়। সেখানে তাদের ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
৩১৪ জনের মধ্যে ৭ জনের শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকায় তাদের রাজধানী কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলবে। এখানে পর্যবেক্ষণে থাকাদের মধ্যে কারও করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে তাদের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। এ জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল।
ডিসেম্বরে উহানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর জানুয়ারির মাঝামাঝিতে এটি মহামারি আকার ধারণ করে। ওইসময়ে উহান শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির সরকার। এই অবস্থায় খাদ্য সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সহায়তার আবেদন জানালে উদ্যোগ নেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের দেশে ফেরাতে আলোচনা শুরু হয় চীন সরকারের সঙ্গে।
তাদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে চীনের অনুমতি পাওয়ার পরপরই ঘোষণা দেয়া হয় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তখন উহানে অবস্থানরতদের থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছুকদের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করে চীনে বাংলাদেশ হাইকমিশন। সর্বশেষ ৩১৬ জন দেশে ফিরে আসবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।
তাদের ফিরিয়ে আনতে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) উহান যায় বিমানের ফ্লাইট। রাতেই তাদের নিয়ে যাত্রা করার কথা থাকলেও স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও অভিবাসন সংক্রান্ত নানা জটিলতায় শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) চীনের স্থানীয় সময় সকালে ফ্লাইটটি বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করে। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, দেশে ফেরার পর তাদের ১৪ দিন আশকোনার হজ ক্যাম্পে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর আরও সাতজনের শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকায় তাদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। কারণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রির বেশি হওয়া।
এর আগেও একাধিক বাংলাদেশিকে পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।