নিরীক্ষক জানিয়েছে, খুলনা প্রিন্টিং কর্তৃপক্ষ ২০১৯-২০ অর্থবছরের নোট ৮-এ ৩০ জুন ১৮ কোটি ৫ লাখ টাকার পণ্য দেখিয়েছে। যা এখনো হাতে এসে পৌছায়নি কিন্তু ট্রানজিটে রয়েছে। তবে দীর্ঘসময়ের ব্যবধানের কারনে ওই পণ্য প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা তৈরী হয়েছে। যাতে করে ওই মূল্যের পণ্য লোকসান হিসেবে (রাইট অফ) দেখাতে হবে। এরমধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে কাস্টমস ১৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার পণ্য জব্দ করে রেখেছিল। ট্রানজিটে এই পণ্যগুলো এখন নিলামের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে কি পরিমাণ দর পাওয়া যাবে, তা অনিশ্চিত।
আর্থিক হিসাবের নোট ৯-এ বিভিন্ন দেনাদারের কাছে ৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা ভালো অবস্থানে এবং ১২ মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেছে। এরমধ্যে কিছু অর্থ ৬ মাসের মধ্যে আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু কোন প্রভিশনিং গঠন করা হয়নি। কিন্তু দীর্ঘসময়ের কারনে কিছু টাকা আদায় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে নিরীক্ষক।
কোম্পানি কর্তৃপক্ষ চলতি বছরের ৩০ জুন ৪৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা মজুদ পণ্য দেখিয়েছে। তবে করোনার কারনে নিরীক্ষক তার সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
এদিকে আল-আরাফাহ ব্যাংক থেকে নেওয়া ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার ঋণ ক্লাসিফাইড হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে নিরীক্ষক। যেগুলো ১৩-১৪ শতাংশ সুদ হারে নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, খুলনা প্রিন্টিং কর্তৃপক্ষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ০.৩৬ টাকা করে মোট ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা লোকসান দেখিয়েছে।