আত্মবিশ্বাস ও অনুপ্রেরণার নির্ভরশীল জায়গা পরিবার

আত্মবিশ্বাস ও অনুপ্রেরণার নির্ভরশীল জায়গা পরিবার
আত্মবিশ্বাস ও অনুপ্রেরণার নির্ভরশীল জায়গা পরিবার একটি মজার কাহিনী বহু দিন পর মনে পড়ে গেল। শেয়ার করতে শখ হোল তাই এই লেখা।

কারণ শেয়ার ভ্যালু এবং লারনিং ফ্রম লার্নার কন্সেপ্টের মূল লক্ষ্য হোল নতুন কিছু জানা এবং অনুপ্রানিত হওয়া।আমার কাকা মরহুম আব্দুস ছাত্তার মৃধা, (বিএসসি, বিএড) মাগুরা জেলার গঙ্গারামপুর প্রশন্ন কুমার উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্র ছিলেন। মেট্রিক পরীক্ষার ছয় মাস বাকি থাকতে বাবা তাঁর ছোট ভাইকে গঙ্গারাপুর হাইস্কুলে ভর্তি করেন। শুধুমাত্র আমার কাকা মেট্রিকে ১৯৬৩ সালে ঐ স্কুল প্রথম বিভাগে পাস করেন।

পরে তিনি ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত। আমার মেঝভাই কর্নেল (অব.) হান্নান মৃধা ঐ একই স্কুলে পড়েছেন দুই বছর। আমি নিজেও সেখানে পড়েছি দুই বছর। আমার বাবাকে বহুদিন পরে জিজ্ঞেস করেছিলাম কি কারনে তিনি আমাকে সেখানে পড়তে উৎসাহিত করেছিলেন যদিও আমাদের বাড়ির কাছেই ভালো স্কুল রয়েছে এবং আমি সেখান থেকেই এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারতাম। বাবার একটাই উত্তর ছিল তা হলো সেখান থেকে অজিৎ বিশ্বাস, যশোহর বোর্ডে স্টান্ড করেছিল ১৯৬৭ সালে।

আমার কাকার ফার্স্ট ডিভিশনে এসএসসি পাশ করাটা তখনকার সময়ের একটি নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত এবং তা অনুপ্রাণিত করেছিল অজিৎ বিশ্বাস সহ আরো হাজারো ছাত্র/ছাত্রীকে। আমি যশোহর বোর্ডে স্টান্ড করতে পারিনি তবে তার কাছাকাছি রেজাল্ট ছিলো। আর হ্যাঁ, বাবার সেই বোর্ডে স্টান্ড স্বপ্ন পুরণ করেছিলেন আমার বড় ভাই প্রফেসর ড. মান্নান মৃধা; তবে এক বার নয় দুবার। সেটা হয়েছিল ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে।

পরে ১৯৭৪ সালে উচ্চশিক্ষার্থে তিনি স্কলারশীপে ইউরোপে আসেন। মান্নান ভাইয়ের সব কিছু আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। এই কারনে আমিও স্বপ্ন দেখেছি বিদেশে যাব, উন্নত শিক্ষার সাথে সাথে ভালো চাকুরী করব ইত্যাদি। ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিতে চাকুরী করার সময় দেখেছি পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত আমেরিকান ফ্রেড হাসান হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে একটি বিশ্বখ্যাত ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হতে পেরেছে, আমি কেন পারব না। জীবনে অনেক কিছু সম্ভব হতে পারে যদি সত্যিকারে ধ্যানে জ্ঞানে মোটিভেশন, ডেডিকেশন এবং সামনে একজন রোল মডেল থাকে।

একটা ভালো রোল মডেল সামনে থাকলে জীবন যুদ্ধে জয়ী হবার সম্ভাবনা বেশি, যেমনটি দেখছি আমার ছেলে মেয়ের ক্ষেত্রে। ওদের রোল মডেল হচ্ছে দুই বিশ্ব টেনিস তারকা রজার ফেদেরার ও সেরিনা উইলিয়াম। তাইতো দেখছি তারা প্রতিদিন কঠিন পরিশ্রম করছে তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে। আমার এই উপলব্ধি ও উদাহরণ বয়ে আনুক সফলতা আমাদের হাজারো ভাইবোনদের ছেলেমেয়ের মাঝে এই কামনায়। -You can only understand my devotion if you share my passion.

লেখক:
রহমান মৃধা,
দূরপরবাস সুইডেন থেকে
Rahman.Mridha@gmail.com

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পা-বিহীন টিকটিকিসহ শতাধিক নতুন প্রজাতির আবিষ্কারের বছর ২০২৩
গলাব্যথা সারাতে কেন লবণ-পানি পান করবেন
থার্টিফার্স্টে মেট্রোরেলের আশপাশে ফানুস না ওড়ানোর অনুরোধ
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
ঢাবির অধীনে এডুকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ
আজ পীরগঞ্জ যাচ্ছেন শেখ হাসিনা
প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ গড়তে হবে
দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো সৌদি
প্রথম দিনেই ‘সালার’ আয় ১৭৫ কোটি
টানা তিন বছর মুনাফা না থাকলে ব্যাংকাস্যুরেন্স সেবা নয়