ফেরত আসা বাংলাদেশিদের আশকোনো হজ ক্যাম্পে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে৷ এ সময় তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য স্বজনরা যেন ব্যাকুল না হয়ে পড়েন সেজন্য তাদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুশতাক হোসেন আশকোনা হজ্জ ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন করছেন৷তিনি বলেন, ফ্লাইটে ৩১৪ জন এসেছেন৷ তাদের কোয়ারেন্টাইন স্টেশন আশকোনার হাজী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে৷ আরও দুজনের আসার কথা থাকলেও শরীরে জ্বর থাকায় তারা চীনে রয়ে গেছেন৷
ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে এমন মাস্ক কার্যকর বলে প্রমাণিত না হলেও এগুলো অন্তত কিছু জীবাণু মুখ কিংবা নাকে যাওয়া ঠেকাতে পারে৷ এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, মাস্ক পরা থাকলে মানুষের হাত যখন-তখন মুখ বা নাকে যায় না৷ আপনি যদি অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে এমন মাস্ক অন্যদের আক্রমণ থেকে বাঁচাবে৷
এদিকে নাগরিকদের আনতে বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা ছেড়ে যায়৷ বিমানটিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর ৪ থেকে ৫ জন ডাক্তার ছিলেন৷
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) করোনা ভাইরাসের পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করছে৷ আইইডিসিআর জানায়, চারটি হটলাইনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে৷ বিমানবন্দরে চীন থেকে আসা যাত্রীদের একটি কার্ড দেয়া হচ্ছে৷ সেই কার্ডে তাদের করণীয় এবং যোগাযোগের নাম্বার আছে৷ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, চীন থেকে তাদের ফেরত আনতে নতুন করে কোন ঝুঁকি তৈরী হবে না৷ তাদের জন্য যে ধরনের ব্যবস্থা করা দরকার আমরা সবই করেছি৷ সেখানে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক দল পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন।
হুবেই প্রদেশের মোট ২২টি শহরে বাংলাদেশের নাগরিকরা থাকেন৷ এরমধ্যে যারা উহানে রয়েছেন আপাতত তাদেরই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে৷ বাকি শহরগুলোতে থাকা কোনো নাগরিককে এখন দেশে আনা হবে না৷
শুক্রবার সকালে বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, উহান শহরে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর চীন সরকার কাউকেই দেশের বাইরের যাওয়ার অনুমতি দেয়নি৷ পরে বাংলাদেশের ৩৬১ জনকে ফেরত পাঠাতে চায় চীন সরকার৷ এরপরই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জরুরিভাবে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷