জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে এবিষয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে লেনদেন স্থগিতাদেশ দ্রুত প্রত্যাহার করে কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন পূণ:রায় চালুর বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। চিঠি ইস্যুর ৩ কার্যদিবসের মধ্যে এসব জানাতে হবে কমিশনকে।
সিএসই সুত্রে জানা গেছে, রোববার রহিমা ফুড কর্পোরেশনের শেয়ার লেনদেন শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে সিএসইতে।
একই সঙ্গে রহিমা ফুডের তালিকাচ্যুতির বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএসইসি। চিঠিতে বলা হয়েছে, কোম্পানির অস্বেচ্ছায় তালিকাচ্যুতির ক্ষেত্রে ডিএসইর বিস্তৃত কোন পদ্ধতি আছে কিনা। এছাড়া তালিকাচ্যুতির পূর্বে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব সম্পর্কে জানাতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও তালিকাচ্যুত রহিমা ফুড ও কোম্পানিটির পরিচালকদের বিরুদ্ধে লিস্টিং আবেদন ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ এর ধারা ৯(৪) এর কোন শর্ত পরিপালন না করায় কোন ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা জানতে চেয়েছে কমিশন। একইসঙ্গে তালিকাভুক্তির চুক্তি ও তালিকাভুক্তিকালীন সময়ে প্রদত্ত কোন শর্ত ভঙ্গ করার জন্য কোম্পানি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক/প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা/ স্বীকৃত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকলে, তাও জানাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রহিমা ফুড করপোরেশন ও মডার্ন ডাইংকে ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই তালিকাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ রহিমা ফুডকে তালিকাচ্যুতির পরিবর্তে লেনদেন স্থগিত করে রেখেছে। সিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ১৭৫ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়।
সিএসিই সূত্রে জানা যায়, ২০ কোটি পরিশোধিত মূলধন নিয়ে কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ২শ। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে ৩৭.৩৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২০.৬৭, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪.৯৯ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬.৯৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।